‘বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দায়ী খায়রুল হক’
‘মুন সিনেমা হলের মালিকানা এবং সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে দেয়া রায়ের মাধ্যমেই সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন’- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিকারীর মুখে আর যাই হোক নীতিবাক্য মানায় না।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে রাজনীতিক ও সাংবাদিক নেতা আনোয়ার জাহিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান গণতন্ত্রহীন অবস্থার জন্য খায়রুল হকই দায়ী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তার দেয়া রায়ের কারণেই আজ দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সুযোগে ভোটারবিহীন সরকার জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। এ দায় থেকে বিচারপতি খায়রুল হক কখনও মুক্তি পাবেন না।’
আনোয়ার জাহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার মতো মেধাবী, বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতার প্রয়োজনীয়তা জাতি উপলদ্ধি করছে।’
তিনি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের প্রতিক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘আইন কমিশনের আসনে বসে সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে তিনি যেসব উক্তি করেছেন তা শুধু অশালীনই নয়, রীতিমতো আদালত অবমাননার শামিল।’
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হক তার সময়ে যেসব রায় দিয়েছেন তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তার আমলে সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের ফলে আজ দেশে যে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা দেশের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ভঙ্গুর করে ফেলেছে। তার রায়ের পরই বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা এবং হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, নগর সদস্যসচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, বাংলাদেশ যুব ন্যাপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল-কাউছারী প্রমুখ।
এমএম/এসআর/আরআইপি