৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতেই দ্রুত বিচার আইনে সাজা বৃদ্ধি
মন্ত্রিসভায় দ্রুত বিচার আইনের সাজার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেখিয়ে ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চাইছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তারা নির্বাচনের আলোচনা আসায় এই সংশোধনী করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ আগের থেকে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। আগে ছিল ২ থেকে ৫ বছর। এখন করা হয়েছে ২ থেকে ৭ বছর।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালোয় ভালোয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। না হলে অতীতের একনায়তন্ত্রের মতো যারা ক্ষমতায় থেকেছেন, তাদের মতো করুণ পরিণতি আপনাদের হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। তারা জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, বাকশাল করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে আমাদের হাসি পায়।’
খালেদা জিয়া সবসময় সুষ্ঠু রাজনীতি করেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০৩০ ভিশনে দেশের ভবিষ্যতের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। বেগম জিয়া তিনি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার বিষয়গুলো নিয়ে ২০৩০ ভিশন প্রকাশ করেছেন। দেশের ভবিষ্যতের জন্য যা করা দরকার এখানে তা রয়েছে।’
ভিশন ২০৩০ নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ আমরা যখন বলেছি, আপনারা এটার অনুকরণ করেছেন। এরপর থেকে তারা আর সমালোচনা করেনি।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ স্লোগান দিয়েছে- গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন; কিন্তু এখন আর তারা এ স্লোগান দেয় না। কারণ, বেসরকারি খাতে কোনো উন্নয়ন করছে না, পাবলিক খাতে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে, যাতে অর্থ হাতিয়ে নিতে সহজ হয়।’
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে বাংলাদেশের উন্নয়নের সব কার্যক্রম শুরু হয়- উল্লেখ করে কয়েকটি উদাহরণ দেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে যে বাজে মন্তব্য করেন তা লজ্জার। তারা অন্যায়ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন।’
ড্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ড্যাব মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএম/এসআর/এমএস