সরকারের আবদার শুনবেন না, ইসিকে খালেদা
সরকারের ‘আবদারে’ কান না দিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শনিবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে আয়োজিত বিএনপি নেতাদের সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এ সরকার যা কিছু আবদার করবে তা না শুনে জনগণের মতামত নেবেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপরই একটি অধাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত নেবেন।`
বিএনপি দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কি না, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে সেই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘হাসিনার অধীনে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। এ সরকার গণবিরোধী। তাই তাদের বিতারিত করতে হবে। কিন্তু এ দায়িত্ব শুধু বিএনপির একার নয়, সবাইকে নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে হটাতে হবে।’
সংসদে উত্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই বাজেটে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তারা (সরকার) জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সেজন্য জনগণের কষ্ট তাদের চোখে পড়ে না। তাই দেশে সত্যিকার অর্থেই একটি জনগণের সরকার প্রয়োজন, যারা জনকল্যাণে কাজ করবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।’
দেশের মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে বিএনপি ভিশন দিয়েছে জানিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘ভিশন বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সমস্যা থাকবে না। দ্রুত উন্নতি করতে পারবে। দুর্নীতি দূর হবে।’
বর্তমানে দুর্নীতি চেপে বসেছে। সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে সরকারের লোকজন জড়িত। সেজন্য কাউকে ধরা হয় না। অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউ কিছু না করলেও তাদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেয়া হয়। দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক এম এ মান্নান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, আমানউল্লাহ আমান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
এছাড়া শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এমএমএ/আরআইপি