ভিশন-৩০ নিয়ে সমালোচনাকারীরাই অন্তঃসারশূন্য : মওদুদ
বিএনপির ভিশন-৩০ কে যারা অন্তঃসারশূন্য বলে তার নিজেরাই অন্তঃসারশূন্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন : নির্বাচন সহায়ক সরকার : সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল ও ড.এস এম হাসান তালুকদার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাইফুর রহমান মিহির।
ভিশন-৩০সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ লাগে, ভিশন-৩০ তখনো শেষ করেননি বা শেষ করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলো এটা একটা অন্তঃসারশূন্য। যারা এ কথাটা বলেছেন তারা নিজেরাই অন্তঃসারশূন্য। তারা যদি সত্যিকার অর্থে গঠন মূলক রাজনৈতিক দল হয়ে থাকে, তাহলে ভিশন-৩০ কে অভিনন্দন জানাতো।
ভিশন-৩০ তে সমঝোতার কথার ব্যাখ্যায় মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সমঝোতার কথা বলি রাজনীতিক কারণে, কৌশলের কারণে। কিন্তু এর উত্তর আসতে হবে রাস্তায়, মাঠে। আন্দোলন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নাই। এবং এটা আদায় করা হবে। আমরা যে সুস্থ গণতন্ত্র সহায়ক সরকারের কথা বলি, সে সহায়ক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বলেন নির্দলীয় বলেন যাই বলেন না কেন, আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যে সরকারের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নির্বাচনে থাকবে না। নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমরা এটার আলাদা রুপরেখা দিবো। মনে করেন না আমরা বসে আছি। আমরা এটার রুপরেখা দিবো। আমরা বলবো। কিভাবে এ সহায়ক সরকার গঠন করা যাবে। যে সরকারের অধীনে দেশের সব মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে।’
বিএনপির আরেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি’র ভিশন-৩০ দেয়ার পর মানুষের আলাপ আলোচনায় যা বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা কাপুনি ধরেছে। আগামী দিনগুলোতে বিরোধী দলগুলো যদি কৌশল ঠিক করতে পারলে এই অনৈতিক সরকারের পরিবর্তন অনিবার্য।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সিদ্ধান্ত বিএনপিকে নিতে হবে। বেশিরভাগ ভূমিকা বিএনপির লাগবে। নির্বাচন সহায়ক সরকার বলেন আর যাই বলেন রুপরেখা আপনাদেরকে (বিএনপি) দিতে হবে। লড়াইয়েও থাকতে হবে আবার সমঝোতার কথা বলতে হবে। এখন কি আপনারা আন্দোলন করবেন নাকি সমঝোতা করবেন সেটাও আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি সহায়ক সরকারের কথা বলেন-তাহলে সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিতে পারবেন না। তাই আন্দোলন এবং সমঝোতা দুটো নিয়েই ভাবতে হবে।
এমএম/জেএইচ/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
- ২ দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- ৩ বাংলাদেশ পাকিস্তানও হবে না, আফগানিস্তানও হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৪ চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার উসকানি, জামায়াতের নিন্দা
- ৫ বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে যা ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো