এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকলে মনোনয়ন দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে মন্তব্য করে দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা থাকলে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা হারালে মনোনয়ন দেয়া হবে না।
রোববার রাতে জাতীয় সংসদের সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি তালিকা করছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো অবস্থান যাদের থাকবে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি কারো দায়িত্ব নিতে পারব না। যাদের অবস্থান খারাপ, আমি ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে বলে দিয়েছি। নির্বাচন কঠিন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ সময় এমপিদের সরকারের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সূচকে মাধ্যমিক স্তরে কত বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, মাথাপিছু আয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি কত টাকা দেয়া হয়েছে এসব সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
তবে সভার অধিকাংশ এমপি সামাজিক উন্নয়ন সূচকের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারেননি। সরকারের উন্নয়ন চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরতেও তাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা নিজের সরকারের উন্নয়নের চিত্রই ঠিকমতো বলতে পারেন না, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী তথ্য দেবেন।
বৈঠকে এমপিদের তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বৈঠক করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী ছয় মাস পর পর জরিপের কথা বলেছেন। এই জরিপে যারা ভালো করবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে।
রোববারের এ বৈঠকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগদান করা স্বতন্ত্র এমপিদের মধ্যে গাইবান্ধা-৪ আসনের আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৩ আসনের ছলিম উদ্দীন তরফদার, কুষ্টিয়া-১ আসনের রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২ আসনের তাহজীব আলম সিদ্দিকী, যশোর-৫ আসনের স্বপন ভট্টচার্য্য, ঢাকা-৭ আসনের হাজী সেলিম, নরসিংদী-২ আসনের কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ আসনের সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মৌলভীবাজার-২ আসনের আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩ আসনের ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এবং কুমিল্লা-৪ আসনের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল যোগ দেন।
তবে মেহেরপুর-২ আসনের এমপি মো. মকবুল হোসেন, ফেনী-৩ আসনের রহিম উল্লাহ, পার্বত্য রাঙামাটির ঊষাতন তালুকদার, পিরোজপুর-৩ আসনের রুস্তম আলী ফরাজী এবং ফরিদপুর-৪ আসনের মজিবুর রহমান চৌধুরী এ সভায় যোগ দেননি।
এইউএ/এসআর