সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চান জয়
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে নেয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠক তিনি একথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার যে রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে তার পাশেই বর্ধিত অফিসে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ শেষে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতে ওঠেন। সেখানে তিনি আগামী নির্বাচনে কী কী করণীয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি যেসব অভিযোগ করে তা আর করতে পারবে না। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। স্বচ্ছতা আসবে, খরচ কমবে। বাংলাদেশের সংবিধান ও উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী অনির্বাচিত ব্যক্তি সরকার পরিচালনা করতে পারবে না। সুতরাং আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।’
জয় আরও বলেন, ‘মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কাছে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পরাস্ত করতে পারলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’
সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক দলের নেতাকর্মীরা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জয় অংশ নেন।
বৈঠকে কর্মশালায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের জয়কে ওই বৈঠকে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানান। মূলত নির্বাচনি কৌশল নির্ধারণ করতেই অনির্ধারিত এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের জয়কে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠেয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান। তখন জয় বলেন, ‘রংপুর থেকে যেহেতু আমি দলের সদস্য হয়েছি তাই আমি বৈঠকে উপস্থিত থাকব। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দলের জন্য করণীয় সবই করব।’
বৈঠকে জয় বলেন, ‘তরুণদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সোশ্যাল মিডিয়া। আমাদের যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আছে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় কার্যক্রম বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে খুন, দুর্নীতি, জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রল বোমা, মানুষ মারা এগুলোই চলবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল বলেই সব ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পেরেছি। নিজস্ব অর্থায়নের অনেক বড় বড় প্রকল্পে কাজ শুরু করতে পেরেছি।’
বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ স্বপ্ন দেখেছে এবং বাস্তবায়ন করেছে। এখন আওয়ামী লীগের স্বপ্নে কথা নকল করে শোনাচ্ছে। যেটা হাস্যকর।’
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের, মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুস সোবহান গোলাপ, এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এইউএ/বিএ/জেআইএম