ক্যান্টনমেন্টই সেনাবাহিনীর বেস্ট পজিশন : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সিটি নির্বাচনী এলাকায় যেতে আসতে মহানগরের কেন্দ্রে থাকা সেনা নিবাসই সেনাবাহিনীর বেস্ট পজিশন। তিন সিটিতে ক্যান্টনমেন্টের অবস্থান মহানগরের কেন্দ্রে থাকায় সেনাবাহিনীকে সেখানে অবস্থান নেওয়াকে উপযুক্ত মনে করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইসি কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। এ সময় এসেই সাংবাকিদের প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে নিজেই কথা বলতে শুরু করেন কাজী রকিব।
তিনি বলেন, তাদের তো এক জায়গায় থাকতে হবে। আমরা মনে করেছি- ক্যান্টনমেন্টই তাদের জন্য বেস্ট পজিশন।
সেনা নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ইসির চিঠি, সহস্র নাগরিক কমিটির সঙ্গে সিইসির বৈঠক ও আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের প্রতিনিধির সিইসির বাসভবনে গমন- এসব বিষয় নিয়ে জানতে সাংবাদিকরা সিইসির জন্যে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন।
অফিস থেকে বের হয়েই তিনি বলেন, সেনা মোতায়েনের ব্যাপার তো! আমরা বুঝে গেছি। কিছুক্ষণ আগে তো মো. শাহ নেওয়াজ সাহেব আপনাদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। কাজেই কোনো প্রশ্ন নয়; তারপরও বলছি। এটা তো কোনো বিষয়ই দেখছি না।
সেনাবাহিনী সিটি নির্বাচনে নিয়োগ করা হলেও তাদের সেনা নিবাসে অবস্থানের ব্যাখ্যা তুলে সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকে; এবারও তাই থাকবে। এর অবস্থান এমনই-ক্যান্টনমেন্ট সেন্ট্রালি লোকেটেড। যে কোথাও (নির্বাচনী এলাকার) যেতে আসতে এটা বেটার। তাদের তো এক জায়গায় থাকতে হবে। আমরা মনে করেছি- ক্যান্টনমেন্ট তাদের জন্য বেস্ট পজিশন।
নির্বাচনী এলাকায় সেনা টহলের বিষয়ে বলেন, তারা (সেনাবাহিনী) নোটিশ টু মুভ। তারা প্রস্তুত থাকবে। রিটার্নিং অফিসার ডাকা মাত্র তারা মুভ করে চলে আসবে। ম্যাজিস্ট্রে থাকবে, কোনো সমস্যা নেই। সেনা সদস্যদের থাকার অবস্থান পরিষ্কার করে দ্বিতীয় বার চিঠি দিয়ে আগের চিঠির প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
তিনি বলেন, কোথায় থাকবে এ বিষয়টা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি -এখান থেকে মুভ করাটা স্ট্রাটেজিক ব্যাপার।
এ সময় সাংবাদিকদের আর কোনো প্রশ্নই না নিয়ে গাড়িতে চড়েন সিইসি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোট হবে।
এইচএস/আরএস/আরআইপি