নয়াপল্টনে ছাত্রদলের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ২
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরুল আলম নূরুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এ সময় সংগঠনটির দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশ। রোববার দুপুর পৌনে ১টায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের কের্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবু আতিক আল হাসান মিন্টু জানান, নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধার মুখে সামনে এগুতে চাইলে মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
তবে পুলিশের দাবি, মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল থেকে একটি নোয়া মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং চারজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান বলেন, ‘নুরু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের নামে ছাত্রদলের কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করে এবং দু’জনকে আটক করা হয়।’
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর কাছে আটকদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম এখনও জানা যায়নি। তবে জানার চেষ্টা চলছে।
মিছিলে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা জানান, গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন, ছাত্রদলের আরেক নেতা মাহিকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি।
ওই ঘটনার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে একটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও স্বীকার করেন ছাত্রদলের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরার বাসা থেকে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায় একদল লোক। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট বাজারের পাশে কর্ণফুলী নদীর তীরে তার লাশ পাওয়া যায়।
ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতাল এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ছাত্রদল।
এআর/এসআর/এনএফ/পিআর/জেআইএম