দুদু চান সেনা, সাক্কু ম্যাজিস্ট্রেট
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তবে ভোটের সময় সেনাবাহিনীর পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা ‘বাতুলতা’ ছাড়া কিছুই নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাত্রলীগ ও জনতার মঞ্চের ক্যাডার। তার কাছে কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করা যায়?
তিনি এ সময় কুসিক নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে দুদু বলেন, ‘আপনি কি চান, সমঝোতা না সংঘাত? সমঝোতা চাইলে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদার সঙ্গে সংলাপে বসুন। সময় চলে গেলে সমঝোতা হবে না, দেশ সংঘাতের দিকে চলে যাবে।’
এদিকে কুসিক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ভোটের সময় সেনাবাহিনীর পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। এর কারণ ব্যাখ্যা করে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী চাওয়া হলেও সহজে তা পাওয়া যায় না। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী ত্বরিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
‘মেয়র থাকাকালে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন’- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমিই জয়ী হবো।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘সরকার ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী অবস্থান নিতে যাচ্ছে। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।’
‘বাংলাদেশ সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট’র সমন্বয়কারী ড. কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. রফিক শিকদার, ঢাকা মহানগর সদস্য মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ূন কবির বেপারী, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’র সভাপতি কেএম রাকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
এমএম/এমএমজেড/এমএআর/আরআইপি