ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সিটি নির্বাচনে প্রকাশ্যেই লড়বেন আব্বাস

প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। তবে নির্বাচনে মাত্র ২০ দিন বাকি থাকলেও এখনো দৃশ্যপটে নেই তিনি। সময় স্বল্প হলেও নির্বাচনে অংশ নিলে প্রকাশ্যে এসেই লড়াই করবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই কার্যত বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপন কৌশল অবলম্বন করেছেন। মির্জা আব্বাসের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তবে ২৮ এপ্রিল একযোগে তিনি সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখনো কোনো প্রচার প্রচারণায় নামেননি তিনি। প্রচারণায় না নামলেও যেকানো মূল্যে বিজয় নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণভাবে নির্বাচনের জন্য মির্জা আব্বাস প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

এদিকে নির্বাচন আদৌ হবে না এখনো সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির একটি পক্ষ। তাদের অভিযোগ, বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রচারণা করাতো দূরের কথা অনেকে প্রকাশ্যেই আসতে পারছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এটা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

তবে বিএনপি অপর একটি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনকে দেয়া কতিপয় শর্ত মেনে নিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপি মানুষিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। তাই তারা দক্ষিণে আব্বাসকে সমর্থন দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যাদেরকে সমর্থন দেয়া হবে তারা প্রকাশ্যে এসেই নির্বাচনে লড়াই করবেন। গণতান্ত্রিক দেশে সীমাবদ্ধতা থাকলে কীভাবে নির্বাচন করবে?

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চত করতে হবে। সব প্রার্থীকে সমান সুযােগ দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি লেভেন প্লেয়িং মাঠ না করে নির্বাচনের আয়োজন করে তাহলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনে অংশ নিলে প্রকশ্যে এসেই প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা করবে। তবে এ বিয়ষে দুই দিনের মধ্যই স্পষ্ট করা হবে।

এমএম/বিএ/এমএস