ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

মির্জা আব্বাসের প্রার্থিতা নিয়েও সংশয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১১ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরে মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত আবদুল আউয়াল মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর দক্ষিণের প্রার্থী নিয়েও নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দক্ষিণে প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসের নাম চূড়ান্ত হলেও তিনিও কৌশলে নির্বাচন থেকে এক রকম দূরে সরে যাবেন। ইতোমধ্যে মির্জা আব্বাসকে নির্বাচনী মাঠে নিষ্ক্রিয় রাখতে পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র ও সমঝোতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এমন আশংকায় বিষয়টি বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি বিকল্প প্রার্থীর কথাও ভাবা হচ্ছে। দলীয় সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

দক্ষিণে মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সূত্র জানায়, এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উত্তরে মিন্টুর মতো শক্তিশালী প্রার্থীর প্রার্থিতা আপাতত বাতিলযোগ্য হওয়ায় বিএনপি রীতিমতো হোঁচট খেয়েছে। এর পেছনে ষড়যন্ত্রের নানা আলামত নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। এ অবস্থায় মির্জা আব্বাসকেও সেভাবে ভরসা করতে পারছে না দলের নীতিনির্ধারক মহল। কেননা, সরকারের সঙ্গে বিশেষ আঁতাতের কারণে মির্জা আব্বাস নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথম দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। একপর্যায়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চাপেই তিনি মনোনয়নপত্র কেনেন।

জানা গেছে, মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ইতোমধ্যে সরকারি শিবিরে এক রকম স্বস্তির পাশাপাশি আগাম জয়ের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলমান দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে মির্জা আব্বাসকে নির্বাচন পর্যন্ত আত্মগোপনে রাখতে পারলেই তো কেল্লাফতে।

সঙ্গত কারণে সরকারি দলের তরফে তলে তলে একটি গ্রুপ সে রকম চেষ্টা-তদবির করছে বলে বিএনপি মনে করছে। বাস্তবে মির্জা আব্বাস সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলে কিংবা ইচ্ছা করে পালিয়ে থাকলে ভোটারদের সেভাবে তিনি কাছে টানতে পারবেন না।

এছাড়া বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল মনে করে, সরকার যে কোনো মূল্যে চাইবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে বের করে আনতে। কেননা, এই নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থী হেরে গেলে তার প্রভাব পড়বে জাতীয় নির্বাচনে। বিশেষ করে বিএনপি তখন গলা উঁচু করে দেশে ও বিদেশে সবার কাছে বলতে পারবে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জনসমর্থন নেই।

আর বাস্তবে তেমন পরিস্থিতি হলে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ফলে সরকার তিন সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের জয়লাভ নিশ্চিত করতে সব চেষ্টায় করবে। এজন্য বিএনপির নীতি-নির্ধারক মহল মনে করছে, আব্বাসকে কোনোভাবেই সরকার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাঠে নামতে দেবে না। আর নামলেও তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সূত্র জানায়, এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আব্বাস যাতে নির্বাচনের জন্য কোনো প্রকার কাজ করতে না পারে সেজন্য শুরুতেই তাকে নিষ্ক্রিয় করার নানা কৌশল নিয়ে ভাবছে ক্ষমতাসীনরা।

তারা মনে করছেন, মির্জা আব্বাস বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকলেও তিনি যাতে প্রচারণা থেকে বিরত থাকেন। কেননা, আব্বাস নীরব থাকলে ক্ষমতাসীন সমর্থিত প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর আব্বাস যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন সে ক্ষেত্রে বিএনপির অপর দুই প্রার্থী আবদুস সালাম ও আসাদুজ্জামান রিপন বহাল থাকলে সাঈদ খোকনের জিতে আসা আরও সহজ হবে। ক্ষমতাসীনরা মনে করেন, আব্বাসের সঙ্গে সরকারের গোপন আঁতাত রয়েছে বিএনপির একটি অংশের মধ্যে এমন ধারণা রয়েছে। সেই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে আব্বাসকে নিষ্ক্রিয় রাখা সহজ হবে। সূত্র: যুগান্তর

এসএস/এআরএস/এমএস