রাষ্ট্রপতি ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবেন আশাবাদ বিএনপির
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বঙ্গভবনে সংলাপ শেষে রোববার সন্ধ্যায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে বিএনপি অনেক খুশি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আপাদমস্তক নেতা। সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। আমরা আশাবাদী তিনি সংকট নিরসনে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে ঘণ্টাব্যাপী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি উষ্ণ আমেজে স্বভাবসুলভ আন্তরিকতায় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আজকের সংলাপে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি মূল প্রস্তাবনায় ছিল বলেও জানান ফখরুল।
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার লিখিত প্রস্তাব পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব ইসি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি। সংকট সমাধানে সংলাপের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব জানান, বাছাই কমিটিতে একজন আহ্বায়ক যিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি ও কমিটিতে চারজন সদস্য রাখার প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতিকে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মূলত তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। একটি হচ্ছে বাছাই কমিটি, দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠন, তৃতীয়টি হচ্ছে আরপিও সংশোধন ও নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ, যা হতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। কী পদ্ধতিতে বাছাই হবে তাও আমরা উত্থাপন করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি পদ্ধতিগত বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবেন। বিএনপি সংলাপের জন্য প্রথম আহ্বান জানিয়েছে তাই বিএনপিকে প্রথমেই ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মনে করেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের স্বার্থে তিনি সব দলের সহযোগিতা পাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বাছাই কমিটির বিষয়ে যুক্তি ও তার মতামত সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। আশা করি রাষ্ট্রপতি আলোচনা করে পদ্ধতিগত বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন আগামী মাসে তিনি সব দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করবেন।
সংলাপ শেষ হলে আবারো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনার উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
এমএম/এসএইচএস/আরআইপি