ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

১০ দিনের রিমান্ডে মান্না

প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার বিকেলে ঢাকার মূখ্য মহানগর আদালতে মান্নার রিমান্ড শুনানি শেষে এই আদেশ দেন হাকিম মাহবুবুর রহমান। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

উল্লেখ্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় মান্নাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

বনানীর একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গুলশান থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে আটকের পর থেকে ২১ ঘণ্টা মান্নাকে কোথায় রাখা হয়েছিল, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, মান্নার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৩১ ধারায় মামলা হয়েছে। এসআই সোহেল রানা মামলাটির বাদী। মামলায় গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। থানায় হস্তান্তরের পর তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে মান্নাকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একটি দল তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরিবারের লোকজন গতকাল দিনভর খোঁজ করেও জানতে পারেননি, তিনি কোথায় ছিলেন, কেমন ছিলেন।

দিনভর মান্নার খোঁজ পাওয়া না গেলেও রাত সাড়ে ১০টার দিকে আভাস পাওয়া যায় যে তাকে রাতের যেকোনো সময় থানায় হস্তান্তর করা হবে। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশের রমনা, মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের ১১ থানায় মান্নার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নাশকতা, লাশ ফেলাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে পুলিশ ২৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে গত সোমবার আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এর পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এরআরএস/পিআর