খালেদার প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংস্কার সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং অসাংবিধানিক। সচিবালয়ে সোমবার চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনার জন্য এই প্রস্তাব কোনো ভিত্তি হতে পারে না। এ প্রস্তাবকে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘চুরির প্রস্তাব কোনো আলোচনার ভিত্তি হতে পারে না। ভালো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ১৩ দফার প্রস্তাব বাতিল করে দেয়া উচিত।’
তবে কি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের কোন ধরনের আলোচনা হবে না- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রস্তাবের ওপর কোনো আলোচনা হবে না। উনি (খালেদা জিয়া) যেকোনো গণতান্ত্রিক প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করে দেখতে পারি। আমরা আলোচনার বিরোধী কেউ না। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উনি নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসুক, দেখবো।’
বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না সে দল বুঝবে।’
‘সব রাজনৈতিক দল’ শব্দ দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন? সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত না হলে কি হবে? ঐকমত্য অর্জিত না হলে কি হবে? অভিন্ন নাম না পাওয়া গেলে কি হবে? বারবার আলোচনা কতদিন ধরে চলবে? বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এসব প্রশ্ন তোলেন হাসানুল হক ইনু।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নির্বাচন কমিশন গঠন এবং শক্তিশালীকরণ: বিএনপির প্রস্তাবাবলী’ শিরোনামের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে ১৩টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সেখানে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাছাই কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। নির্বাচন কমিশন গঠনে অভিন্ন নাম পাওয়া না গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি।
এমইউএইচ/ ওআর/পিআর