গণসংহতির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
গণসংহতি আন্দোলনের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পরিচিতি এবং দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম এবং কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবুল হাসান রুবেল।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলন ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট ‘জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে। তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় সংগঠন গত ৪ ও ৫ নভেম্বর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত করে। কাউন্সিলরদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সম্মেলন ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছে।
প্রতিনিধিদের বিবেচনার জন্য ৪টি সদস্য পদ খালি রেখে ২১ সদস্যের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রতিনিধিদের ভোটে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয় বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
প্রতিনিধিদের ভোটে কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ সদস্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিষদ ও ৭ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলী নির্বাচিত হয়। সম্মেলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদ হিসেবে দলের চারজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ সদস্যকে নির্বাচিত করে। নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।
রাজনৈতিক পরিষদ: দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, তাসলিমা আখ্তার, ফিরোজ আহমেদ, আবুল হাসান রুবেল ও হাসান মারুফ রুমি। প্রধান সমন্বয়কারী ও নির্বাহী সমন্বয়কারী পদাধিকার বলে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য।
সম্পাদক মণ্ডলী: বাচ্চু ভূঁইয়া, শ্যামলী সরকার, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবু, মুরাদ মোরশেদ ও আরিফুল ইসলাম।
সদস্য: আমজাদ হোসেন, দীপক রায়, তৌহিদুর রহমান, অপরাজিতা চন্দ, উশ্যে প্রু মারমা, জান্নাতুল মরিয়ম তানিয়া ও তরিকুল সুজন।
কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য: নাজার আহমেদ, ফিরোজ আহসান, নুরুল আমিন শাহীন ও কেরামত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি পর্ব এবং দেশীয় পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নোত্তরকালে জোনায়েদ সাকি সুন্দরবনের রামপাল প্রকল্পের আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তি এবং সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তি নিয়ে কোম্পানির তথ্যবিভ্রাট ও মিথ্যাচার প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানির এমডি বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যে তামাশা, তাচ্ছিল্য ও যে ভাষায় মন্তব্য করেন তা ওই বিদেশি কর্তৃক দেশের সার্বভৌমত্বকেই তাচ্ছিল্য করার সামিল। সরকার এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যাখা বিবৃতি দেয়নি; ফলে সরকার কোম্পানির এমডির বক্তব্যকে প্রশ্রয়ই দিচ্ছে।
এএসএস/বিএ