ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদা-তারেকের নির্দেশ মানছেন না যারা

প্রকাশিত: ০২:৪৯ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চূড়ান্ত আন্দােলনের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার অবরােধ কর্মসূচি ঘোষণার পর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দলের সব নেতাকর্মীদেরকে আন্দােলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দলটির বেশিরভাগ নেতাই খালেদা ও তারেক রহমানের এই ডাকে সাড়া দেয়নি বলে অভিযােগ উঠেছে।

এর আগে অতীতের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে আন্দোলন যাতে সফলতার মুখ দেখে এজন্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিভিন্ন স্থানে কমিটি সংস্কার করেছিলেন তিনি। অনেক জায়গায় আবার নতুন করে কমিটিও দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিকে তারুণ্য নির্ভর করার প্রত্যয়ে ১৫৩ জনকে দিয়ে আংশিক কমিটি গঠন করেছিলেন। এই কমিটি গঠনের পর নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রায় দুই মাস ধরে টানা বিক্ষোভ করে পদবঞ্চিতরা।

সেসময় পদবঞ্চিত নেতারা নবগঠিত কমিটিতে রাজপথে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদেরকে বাদ দিয়ে পকেট কমিটি ও সরকারের সঙ্গে আতাত করে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আনে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে।

জাগো নিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যাদেরকে দিয়ে তারুণ্য নির্ভর কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগ নেতাই ৫ জানুয়ারির পর এখনো অন্ধকারে রয়েছেন, বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে থেকে আন্দােলন পর্যালোচনা করছেন।

এদিকে ৫ জানুয়ারি অবরুদ্ধ থেকে খালেদা জিয়ার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর কয়েকজন নেতাকে রাজপথে দেখা গেলেও তার কিছুদিন পর থেকেই হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া আর কারো দেখা মিলছে না। ইতিমধ্যে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের কয়েকজনকে পুলিশ আটকও করেছে।

তবে পদ প্রত্যাশি শ`খানেক কর্মী এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলমান অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এক্ষেত্রে অনেকে আবার ফটোসেশন করে একটি ব্যানার নিয়ে ১/২ মিনিটের মিছিল করে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৫৩জন তরুণ নেতার মধ্যে কয়েকজন নেতা রয়েছেন যারা জানুয়ারি মাসে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য রাজপথে আন্দােলন করেছেন। তারা হলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক মো: আকরামুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেকুজ্জামান তারেক, আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, মরিরুজ্জামান রেজিন, মামুন বিল্লাহ, ইখতেয়ার রহমান কবির, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, জাকির হোসেন খান, জয়দেব জয়, নিহার হাসেন ফারুক।

যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মো: রাসেল, আবদুর রহিম হাওলাদার সেতু, মিজানুর রহমান সোহাগ, নুরুল হুদা বাবু, আবদুল করিম সরকার, মফিজুর রহমান আশিক, বায়েজিদ আরেফিন, ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, সামসুল আলম রানা, মেহবুব মাসুম শান্ত, এস এম কবীর, হাসানুল বান্না, হাবিবুর রহমান ডালিম।

সহ-সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, এম জেড আই জহির, আরিফা সুলতানা রুমা, রবিউল ইসলাম রবি, রাজিব আহসান পাপ্পু, শফিকুল ইসলাম মিঠু।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান বাবু, আবু সাঈদ, সাইদুর রহমান রয়েল, ইলতুৎমিশ সওদাগর, কামরুল হাসান খান সাইফুল, আমীর আমজাদ মুন্না, আশরাফ ফারুকী হীরা।

সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া। দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটওয়ারী। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুর রহমান রিপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসানুল হক শুভ্র, যোগাযোগ সম্পাদক গাজী মো: সুলতান জুয়েল, আইন সম্পাদক মাকসুদ উল্লাহ, ক্রীয়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ, পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান, সমাজ সেবা সম্পাদক আবদুর রহিম, মানবাধিকার সম্পাদক আবদুল আজিম রুমি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মো: ইয়াকুব রাজু, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক স্বপন মন্ডল, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান।

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশের পরও রাজপথে যাদের পদধূলা পড়েনি তারা হলেন, সহ-সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু, আবুল মনসুর খান দীপক, ফয়সাল আহম্মেদ সজল, মাসুদ খান পারভেজ, মনিরুল ইসলাম মনির, সাদিউল কবির নিরব, হুমায়ুন কবির, আবদুল ওহাব, নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ, ইসতিয়াক নাসির, আহমেদ সাইমুম, আবদুল হান্নান মিয়া, খলিলুর রহমান খলিল, শফিকুল ইসলাম রিবলু, সাফায়াত হোসেন নিরব, জাকির হােসেন মিন্টু, মো: কামাল হোসেন খান, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনিরা আক্তার রিক্তা, আনোয়ারুল কবির মিলন।

যুগ্ম সম্পাদক  আবুল হাসান, আজিজুর রহমান আজিজ, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মন, মামুন হোসেন ভূঁইয়া, শহীদুল ইসলাম সোহেল, মির্জা আসলাম আলী, মাহফুজুর রহমান, মির্জা ইয়াসিন আলী, মুসফিকুর রহমান লেলিন, বিএম নাজিম মাহমুদ, কাজী মোতাহার হোসেন, আবু বক্কর সদ্দীকি পাভেল, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, ইউনুস আলী, সেলিনা সুলতানা নিশিতা, শওকত আরা উর্মি, শাহিনুর নার্গিস, শফিকুল ইসলাম শফিক, গোলাম মোস্তফা, মিল্টন বৈদ্য।

সহ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, এহতেশামুল হক, মো: উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, মাহবুবুর রহমান পলাশ, আনোয়ার হােসেন, সুলতান মাহমুদ তুষার, সাহাকুল সবুজ, মোজাহিদুল ইসলাম, আরিফ মো: ফরহাদ, খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ, এমজেডআই জহির, খালিদ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইসমাইল হোসেন খান শাহিন, নাসিমা আক্তার কেয়া, সাগর মজুমদার, রতন বালা, মৃনাল কান্তি বৈষ্নব, আবুল কালাম আজাদ টিটু, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, মনজুর মোরশেদ পলাশ, নোমান হাসনাত, আনিছুর রহমান সুজন।

সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সুমন দেওয়ান, মিজানুর রহমান সুমন, গোলাম আজম সৈকত, উজ্জল হোসেন, নাসির উদ্দিন শাওন, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনোয়ার মামুন ভূঁইয়া, নুরুল হুদা ভুঁইয়া, শাহীনুর বেগম সাগর, একেএম শফিকুল ইসলাম, আল, আমিন সিদ্দিকী আকাশ, নাদিয়া পাঠান পাপন, সাখাওয়াত হোসেন চয়ন, সঞ্জয় দে রিপন, নজরুল ইসলাম পিন্টু, জাকির হোসেন, আফরোজা খানম নাসরিন, নুরে আলম জাবেদ, মুজাহিদুল ইসলাম উত্তম, আকিল মাহমুদ।

প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম হিমেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কিউ এইচ এম ওহাহিদুজ্জামান রাজন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান মোস্তাক, আপ্যায়ন সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মাসুদ, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফাহমিদা মজিদ উষা, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো: নাসির, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক আরজ আলী শান্ত, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক, গন সংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন, সদস্য খন্দকার এনামুল হক, হুমায়ুন কবির রওশন, ওমর ফারুক মুন্না।

এছাড়া পদ না পাওয়ার পরও গত ৫ জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের যেসব কর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন তারা হলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন ও ঢাবি ছাত্রনেতা আল মেহেদী তালুকদারের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন- বাপ্পু সরকার, সুব্রত দাস, মাসুম আহমেদ বাবু, মুজাহিদুল ইসলাম, মোমিনুল হক জিসান. মাহবুবুর রহমান, নাছির উদ্দিন শাওন, জুয়েল হোসেন, ত্রিবিজয় চাকমা, আনিসুর রহমান, এম এস মাহমুদ, শিমন কুমার দে, আকতার হোসেন, রনি নাথ, মির্জা গোলাম, মারুফ এলাহী, মাতিশ হাসান, ইকবাল হোসেন শ্যামল।
      
যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে রয়েছেন, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, করিম প্রধান রনি, নাজমুল হোসেন নয়ন, মোহসীন ভুইয়া, মামুন খান. রাফিউল মুরসালিন খান লিয়ন, আরিফ, বাবুল আক্তার,আবদুল্লাহ আল মাসুদ।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমির আমজাদ মুন্নার নেতৃত্বে যারা মিছিল করছেন তারা হলেন- আজিম উদ্দিন মিরাজ, দেলজার হোসেন, শাহনেওয়াজ, মাহবুব রব্বানী জয়, সাইফুল ইসলাম সাইফুল, হাবিবুল বাসার, আলতাফ হোসেন, আবু বকর গাজী আরিফ, সাইফুল ইসলাম মহসিন, খোরশেদ আলম সোহেল মুজিব, নাদির শাহ, মো: আঃ রহিম রনি, সর্দার আমিরুল ইসলাম সাগর, লাহুল গালিব, সাইদুর রহমান, আমিন, মাহমুদ, রুমী, বাপ্পা,   
      
সহ সভাপতি আলমগীর হাসান সোহানের নেতৃত্বে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন, রজিবুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, হাফিজুর রহমান, পার্থদেব মন্ডল, শামীম ইকবাল, রিংকু, আনিসুর রহমান শামীম, হারুনুজ্জামান, নাজমুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান, আমিনুর রহমান, সাইফুজ্জামান, শফিউল আযম রানা, আল ইমরান রিপন, এম এম মুসা, তৌহিদ।

তবে ছাত্রদলের করুণ এই পরিণতির জন্য সংশ্লিষ্টরা ছাত্রদলের দুই অভিভাবক বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকেই দায়ী করছেন। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় বিএনপির এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এমএম/এআরএস/এমএস