ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নৌমন্ত্রীর মিছিলে বোমা হামলায় আহত ১১, আটক ১০

প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সমাবেশ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাওয়ে যাওয়ার পথে গুলশান-২ চত্বরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

বোমা হামলায় আহতদের মধ্যে বাবুল আহমেদ (৫৪), মোতালেব খালাসি (২২) ও ওবায়দুল খালাসি (২১) নামের তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বাবুলের ডান-পা ও মাথায় জখম রয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।

গুলশান-২ চত্বরে অবস্থিত মেট্রোপলিটন প্লাজার ছাদ থেকে এ হামলা চালানো হতে পারে এ আশঙ্কায় ওই মার্কেটে ভাঙচুর শুরু করেছে শ্রমিক নেতাকর্মীরা।

বোমা হামলার এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা চারটি মোটরসাইকেল ও মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর রয়েছেন। বেলা সোয়া ১২টার দিকে মিছিলটি গুলশান দুই নম্বর মোড়ের মেট্রোপলিটন শপিংমল পার হওয়ার সময় মার্কেটের ওপর থেকে ৬-৭টি বোমা ফেলা হয়।

তিনি বলেন, নৌমন্ত্রী ছিলেন মিছিলের সামনে সারিতে। মার্কেট পার হয়ে যাওয়ার পর মিছিলের মাঝামাঝি হামলা হয় সময় আটকা পড়েছিলেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, হামলার পর মিছিলের লোকজন প্রাণভয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় গাড়ি চলাচলও কিছুসময় বন্ধ থাকে।

ঘটনাস্থল মেট্রোপলিটন শপিংমলের সামনের রাস্তায় অন্তত তিন জায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের পরপরই মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কর্মসূচি শেষে বোমা হামলার ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, তাদের হাসপাতালে রুবেল আহমেদ ও আবু তাহের ইমন নামে দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গেছেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুবেল মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের গেণ্ডারিয়া থানার সভাপতি এবং ইমন যুগ্ম সম্পাদক। বিস্ফোরণের সময় রুবেল পা এবং ইমন হাতে আঘাত পান।

বোমা হামলার ঘটনার পর তাৎক্ষনিকভাবে যোগাযোগ করা হলে গুলশান জোনের ডিসি লুৎফুল কবির বলেন, আমি হাসপাতলে আছি। ভীষণ ব্যস্ত। এ বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে।

পরে তিনি জানান, বোমা হামলার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আহত অন্তত ছয়জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মার্কেটের ছাদ থেকে বোমাগুলো মিছিলের ওপর ফেলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গুলশান থানার অপারেশন কর্মকর্তা ফিরোজ কবির জানান, এ ঘটনায় গুলশান থানা এলাকা থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জেইউ/আরএস