একুশে আগস্ট কোথায় ছিলেন ফখরুল

২১ অাগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনা ইতিহাসের কলঙ্ক বলেন আপনি, তখন কোথায় ছিলেন?’

সোমবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন করেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল আপনি বলেছেন, ২১ অাগস্টের ঘটনাই তিহাসের কলঙ্ক। নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পল্টন থানায় গিয়েছিল মামলা করতে, সেদিন তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখে প্রতিনিধিদলকে বলা হয়েছিল উপরের নির্দেশ নেই। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার উপর হামলার ঘটনায় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে দেয়নি, আলোচনা করতে দেয়নি।

তিনি বলেন, ‘আপনার নেত্রী বলেছিলেন, ওই গ্রেনেড শেখ হাসিনা ভ্যানেটি ব্যাগে করে নিয়ে এসেছিল। সেদিন আপনি কোথায় ছিলেন? তাহলে যেদিন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিলেন সেদিন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনার লজ্জা করে না? কী করে আপনি সেই নেত্রীর সঙ্গে এখনো রাজনীতি করেন। লজ্জাটা আপনার কোথায়?’

পঁচাত্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানে অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।  বলেন, ‘ফখরুল সাহেব সেদিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে না-কি জিয়া জড়িত না, আওয়ামী লীগ জড়িত? আমি বলবো, হ্যাঁ ওই হত্যাকাণ্ডে মীর জাফর মোশতাক জড়িত ছিল, ঠিক তেমনিভাবে জিয়াও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়া সরাসরি জড়িত ছিল। এর অসংখ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’

হানিফ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি ছিল এটা শুনলে তাদের (নেতাকর্মী) কষ্ট লাগে। আরে এই দলটিই তো খুনির দল। জিয়া বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তারপর খালেদা ক্ষমতায় এসে হাজার হাজার মানুষ মেরেছে। কিছু দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবির নামে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আর তার ছেলে তারেক হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিল।’

জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

এইউএ/বিএ