হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য চলছে : রওশন এরশাদ
অবরোধ ও হরতালের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এছাড়া বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, রেল লাইন উৎপাটন, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে সম্পদের সঙ্গে ট্রাক ড্রাইভার, শিশুসহ মানুষ পোড়ানোর মত এই বিভাষিকাময় ঘটনা অতীতে আর কখনো হয়নি।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, হরতাল ও অবরোধ রাজনৈতিক দাবি আদায়ের একটি অন্যতম মাধ্যম এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। কিন্তু বিরোধীতার নামে যে নৈরাজ্য ও অরাজকতা শুরু হয়েছে সেই নৈরাজ্যের কবলে পরেছে এদেশের খেটে খাওয়া দিন মজুরসহ নারী পুরুষ শিশু তথা সাধারণ মানুষ। অথচ তারা কোন রাজনীতি করে না। ক্ষতিগ্রস্তরা অনাহারে দিনাতিপাত করছে। আজ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ সদস্য এ আক্রমণের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এস.এস.সি পরীক্ষা। এ ধরনের নৈরাজ্য চললে দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাচ্ছে না। জনগণের সম্পদ ও যানবাহন জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছে। বোমা হামলায় ঝলসে যাওয়া মানুষগুলো কাতরাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
রওশন এরশাদ আরো বলেন, সহিংসতায় ইতোমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২০০ জনের মত বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ধরনের কর্মসূচিতে ব্যবসায়ীদের মাঝে চলছে আহাজারি। অশ্রুজলে সিক্ত হচ্ছে শিল্প মালিকরা। অতীতের ইতিহাসে এদেশে এ ধরনের সহিংস ঘটনা আর ঘটেনি।
দলমত নির্বিশেষে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাস প্রতিহত করার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান বেগম রওশন এরশাদ।
আরএস