সরকার পতন আন্দোলনে শরীক হচ্ছে না জামায়াত
ঈদের পর সরকার পতন আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে না জামায়াত। ঈদের পর সরকার পতন আন্দোলনে নামা হবে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের এমন হুংকারকে পাত্তা দিচ্ছে না জামায়াত। বরং বিএনপির এমন হুংকার নিয়ে রসিকতা করছেন দলটির নেতারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা ও বর্তমান নির্বাহী পরিষদের সদস্য বলেন, কি নিয়ে আন্দোলন করবে বিএনপি? এক মহানগর কমিটি মাত্র ঘোষণা করল। সেখানেও চলছে মতবিরোধ। এছাড়া অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের কমিটি নেই। ত্যাগী নেতা নেই। এই অবস্থায় বিএনপির উপর আর ভরসা করতে রাজি নয় জামায়াত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির ব্যর্থতায় ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল হয়নি। যার কারণে সরকার ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। তার মতে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা যে দলের নেই তাদের দিয়ে নির্বাচিত একটি সরকারের পতন ঘটানো ‘আষাঢের গল্প’ ছাড়া আর কিছু না।
ঈদের পর আন্দোলনে জামায়াতের অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর দেন, বর্তমান পরিবেশ জামায়াতের জন্য স্থিতিশীল। এই পরিবেশ গায়ে পড়ে কেন নষ্ট করবো? তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি পর সরকার এখন পর্যন্ত আমাদের ক্ষতির কারণ হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে দলের মধ্যে, এমন দাবিও করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর জামায়াতের একজন নায়েবে আমির নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, সরকারের সঙ্গে লিয়াজো রক্ষা করছে বিএনপি এমন নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক সরকার পতন হবে না। তার দাবি, বিএনপির হারানোর কিছু নেই। তারা এখন ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জামায়াতের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কাদের মোল্লার মতো ট্যালেন্ট একজন নেতাকে হারাতে হয়েছে। দ্বিতীয় বার একই ভুল করে আর কোন নেতাকে হারাতে চায় না তারা।
আন্দোলনে মাঠের জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতের এই নীরবতায় ব্যাপক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। ঈদের পর সরকার বিরোধী আন্দোলনে রোড ম্যাপ ও আন্দোলনের ছক নির্ধারণে জামায়াতকে বারবার ডাকা হলেও তারা কোন সাড়া দেয়নি। এমনকি রমজান মাসে জামায়াত প্রকাশ্যে কয়েকটি ইফতার অনুষ্ঠান করলেও সরকার বিরোধী হুংকার দিতে দেখা যায়নি দলটির কোন নেতার।
সম্প্রতি জামায়াতের এমন আচরণে বিএনপি হাইকমান্ড চরমভাবে অসন্তুষ্ট। দলটি স্থায়ী কমিটি একাধিক সদস্যকে দিয়ে জামায়াতকে বাগে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন খালেদা জিয়া। কোন মতেই ঈদের পর আন্দোলনে নামতে রাজি হয়নি দলটি। সর্বশেষ সদ্য গঠিত ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে দিয়ে জামায়াতকে বাগে আনার চেষ্টা করে চালাচ্ছে বিএনপি। কারণ জামায়াতের সঙ্গে মির্জা আব্বাসের দীর্ঘ দিনের সখ্যতা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সব মিলিয়ে ঈদের পর সরকার পতন আন্দোলনে মাঠে নামতে নারাজ জামায়াত। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ চলছে দলটির।
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
- ২ দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- ৩ বাংলাদেশ পাকিস্তানও হবে না, আফগানিস্তানও হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৪ চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার উসকানি, জামায়াতের নিন্দা
- ৫ বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে যা ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো