বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের চেয়েও জঘন্য : এইচটি ইমাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের চেয়েও জঘন্য। তিনি বলেন, জঙ্গিরা গলাকেটে মানুষ হত্যা করে আর বিএনপি-জামায়াত জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। নির্মমতার বিচারে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বড় কষ্টের।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনার উপ-পরিষদ ‘ইসলামের আলোকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
এইচটি ইমাম বলেন, চরম ডান এবং চরম বামপন্থা একই কাজ করে। এরা গণহত্যায় বিশ্বাসী। জঙ্গিরা তাই করছে। স্বাধীনতার পর চরম বাম এবং ডান মিলেই দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে ডানপন্থিদের পুনর্বাসনন করে। যার ধারাবাহিকতায় জঙ্গিবাদের বিস্তার।
পাকিস্তান বাংলাদেশকে কখনও মনে প্রাণে মানতে পারে না উল্লেখ করে ইমাম বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বরাবরই তৎপর। ১৯৯৬ সালের পর আইএসআই-কে বিতাড়িত করা হয়েছিল। ২০০১ সালের পর আবারও তাদের কর্তৃত্ব বেড়ে যায়। আমরা ক্ষমতায় এসে আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র মোকেবেলা করছি। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করে চলছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের শিকড় নির্মূল করব। কারণ জনগণের শক্তির উপর কিছুই নেই। জনগণ আগে পেরেছে, এবারও পারবে।
কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা জঙ্গিদের দেসর উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। বিএনপির সৃষ্ট হাওয়া ভবনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের গভীর সম্পর্ক ছিল। এটি ছিল সরকারে মধ্যে আরেকটি সরকার। যার ওপর প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে মওদুদীবাদকে উৎখাত করতে হবে জানিয়ে সাবেক এই আমলা বলেন, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষকদের নিয়ে ভাবতে হবে। আর সময় নেই। এখনই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বাশার মাইজ ভান্ডারি, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেসবাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, মাওলানা গোলাম মাওলা প্রমুখ।
এএসএস/এআরএস/পিআর