ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৭:৫৪ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৪

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থে কাজ করে। এমন রাজনীতি তার দল করে না। শনিবার গণভবনে যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

 

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শোনা যাচ্ছে সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেমে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঁতাতের রাজনীতি আমরা করি না। আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থে কাজ করে। এর আগে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দুই দেশের সম্পর্ক সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

 

শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- ওই বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডেভিড ক্যামেরন হতাশা প্রকাশ করেছেবলে বিএনপি অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে তার বক্তব্য কি? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, সামনে এগোতে হবে। আমরা সামনে দেখতে চাই। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। কিছু আনকন্টেস্টেড ইলেকশন নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার সময় যেকোন বিষয় উঠতেই পারে। কিন্তু পরে যেগুলো বললেন সেগুলো তো তারা (বিএনপি) বলছেন না।

 

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাজ্য সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। গার্ল সামিটে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তিন দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গার্ল সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আমন্ত্রণে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান শেখ হাসিনা।

 

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই ছিল যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর। লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন মঙ্গলবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। গার্ল সামিটে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে কমে আসার চিত্র এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।