‘অপারেশন স্টোর্ম-২৬’ এর আগেই জঙ্গিবিরোধী কর্মসূচি শুরু করে আ.লীগ
কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে ‘অপারেশন স্টোর্ম-২৬’ এর আগে স্থানীয় ১১, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ। পরে পুলিশও সে কর্মসূচিতে যোগ দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় লোকজন মিলে ওই বাসায় (জাহাজ বাড়ি) গিয়ে পঞ্চম তলায় কড়া নাড়লে ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ১১নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কিবরিয়া পিয়াস।
তিনি জানান, ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হকের নির্দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মিলে রাতে মেসে ও বাসাবাড়িতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী সচেতনামূলক প্রচারণা শুরু করা হয়। খোঁজ নেয়া হয় কোথাও কিছু রয়েছে কিনা।
তিনি আরো জানান, পরে মিরপুর থানা পুলিশও এসে ১১, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে ব্লক রেইড শুরু করে। পুলিশের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কমিটির সদস্যরা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ অংশ নেয়। অবশেষে ৫ নং ওই বাড়ির বিভিন্ন ফ্লোরেও সবার সঙ্গে কথা বলা হয়। তবে বিপত্তি বাধে জাহাজ বাড়ির পঞ্চম তলার দরজায় কড়া নাড়লে।
ভেতর থেকে দরজা না খোলায় পুলিশ দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে গুলি চালানো হয়। ঠিক তখন থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অনেককে সরিয়ে দেয়া হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউসার আহমেদ জানান, আমাদের অভিযান ও সন্ত্রাসবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্যেই পুলিশও আসে। তাদের সহযোগিতা করেছি আমরা।
১১ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী আল ইমরান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কল্যাণপুর গার্লস হাই স্কুলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ রয়েছে। সেখানে এমপি আসলামুল হক প্রধান অতিথি। এজন্য গতকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
১১ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আবির আহমেদ অভি জানান, সকালে এমপি আসলামু হক ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তার নির্দেশে আমরা এলাকার আশপাশে অবস্থান করছি। যে কোনো কাজে আমরা পুলিশকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
জেইউ/এএইচ/এসএইচএস/এবিএস