খালেদা এ যুগের ঘষেটি বেগম : নৌমন্ত্রী
সব খুনিরা আজ একত্রিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ওইসব খুনিদের নেত্রী অর্থাৎ এ যুগের ‘ঘষেটি বেগম’ বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, নবাব সিরাজদৌল্লাকে হত্যা করতে খুনিরা একত্রিত হয়েছিল। তার নেতা ছিল ঘষেটি বেগম। আজ বাংলার ষোল কোটি মানুষের নেত্রী, জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সব খুনিরা এক হয়েছে। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী রাজাকার-আলবদর সৃষ্টি করে বাংলার ৩০ লাখ মানুষকে খুন করেছে। মুসলিম লীগ শান্তি কমিটি গঠন করে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছে। নেজামে ইসলাম মুজাহিদী ইসলাম গঠন করে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছে। সেইসব খুনিরা, ৭৫ এর খুনিরা, ১৯৭২ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত ছাত্রকে গুলি করে হত্যায় নেতৃত্বদানকারী শফিউল আলম প্রধানসহ সব খুনিরা আজ একত্রিত হয়েছে। আর তাদের নেত্রী হয়েছে খালেদা জিয়া। সুতরাং খালেদা জিয়া এই যুগের ‘ঘষেটি বেগম’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এই দেশ যদি ধ্বংসের মুখোমুখি হয়, শেখ হাসিনা কষ্ট পাবেন, তার বুকে ব্যথা লাগবে। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসবেন অট্টহাসি। আর শেখ হাসিনার চোখে জল ঝরবে।
মন্ত্রী বলেন, এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করার জন্যেই তো বাংলার শ্রমিক, কর্মচারী, সৈনিক, পেশাজীবি, মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, বাংলার মেথর-মুচি, কামার-কুমার, জেলে, তাঁতি, মাঝি, গায়ের কৃষক, ছাত্র-যুবক, জনতা সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর হাতকে শক্তিশালী করেছিল, বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল, তেমনি করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করছে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করার জন্য।
মন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গিবাদ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার মানুষ সব জানে। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন এই জঙ্গিবাদকে তিনিই মদদ দিয়েছেন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা দেখে যিনি হিংসা এবং ঈর্ষান্বিত হচ্ছেন তিনি হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কাছে এক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়ে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রশাসনের কঠোর মনোভাব এবং সরকারের জিরো টলারেন্সের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করে চলেছে, যা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
এইচএস/আরএস/আরআইপি