রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে খালে অস্ত্র ফেলা হয়েছিল : রিজভী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ী খালে উদ্ধারকৃত অস্ত্র অশুভ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জনগণ বিশ্বাস করে। একইসঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা, রিমান্ডে নিয়ে ‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে হত্যা এবং উত্তরার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার একই যোগসূত্রে গাঁথা, যা একটি মহাপরিকল্পনার অংশ।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী আরো বলেন, যে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, এ ধরনের অস্ত্র মূলত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই আমদাদি ও ব্যবহার করে থাকে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করে থাকে। পিস্তলগুলোর মধ্যে ৯৫টিই ৭.৬২ বোরের পিস্তল, যা পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবহার করে।

তিনি বলেন, এটি আর রহস্যের মধ্যে নেই, ক্রমাগতভাবে রহস্যের কুয়াশা ভেদ করে মানুষের মনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, আইন প্রযোগকারী সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া তুরাগ নদীর খালে এ অস্ত্রগুলো পৌঁছাতো না। অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল অপরাধীদের জন্য, যারা অপরাধ সংঘটন করে। মানুষের মনে আরো সন্দেহ তীব্র হয়ে উঠেছে যে, কীভাবে প্রকাশ্য দিনের বেলায় নম্বর ছাড়া একটি কালো রঙের পাজেরো গাড়ি এ বিপুল অস্ত্র খালে ফেলে চলে গেল। এলাকাটি তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে আবদ্ধ।

রিজভী বলেন, রাজধানীর উত্তরায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কমিশনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর স্বভাবসুলভ বক্তব্যের সমতুল্য। তার বক্তব্যে আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি হয়েছে। মনে হয়েছে, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আওয়ামী লীগের পোর্টফোলিও হোল্ডার।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে যেখানে ন্যূনতম আইনের শাসন আছে, সেখানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখেন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্রভুদের অন্যায় আচরণের নির্লজ্জ অনুসরণ করেন না। বর্তমান পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পরে তার স্বল্প ভাষিতায় আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম তিনি দৈত্যকূলে প্রহ্লাদ হবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে- তিনি তার পূর্ববর্তীদেরই অনুগামী- আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশীদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/আরএস/আরআইপি