ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

পুলিশের স্ত্রীসহ সকল হত্যার সঙ্গে আ. লীগ জড়িত : খালেদা

প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ০৯ জুন ২০১৬

পুলিশ অফিসার বাবুল আক্তারের স্ত্রীসহ দেশে চলমান গুম-খুনের সঙ্গে ‘আওয়ামী লীগ’ ও তার ‘দোসররা’ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বিএনপির আইনজীবীদের আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এদেরকে ধরলেই এসব গুম-খুনের রহস্য উদঘাটন হবে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

চট্টগ্রামে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রতিনিয়ত গুম-খুন হচ্ছে, ক্রসফায়ারে মানুষ মারা যাচ্ছে। এইসব খুন-গুম-হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত এবং তার সঙ্গে যারা দোসররা আছে, তারা জড়িত। কাজেই তাদের ধরলেই সব বের হয়ে যাবে। সেজন্য বিচারকদের কাছে দাবি থাকবে, আমরা আইনের শাসন চাই, সুবিচার চাই। যাতে সকলের জন্য সমান বিচার হয় অপরাধীদের শাস্তি হয়।’

দেশের দুরাবস্থা নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান বিরোধী দল সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল সরকারেরও আছে, বিরোধী দলেও আছে। সেজন্য পদ হারানোর ভয়ে সরকারের বিপক্ষে তারা কিছু বলছে না।’

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষ একদলীয় শাসনের পরিস্থিতিতে পড়েছিলো। এখন আবারো সেই অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।

লুটপাটে দেশের অর্থনীতি শেষ করে দেয়া হয়েছে, দাবি করে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন ডিজিটাল কায়দায় ডাকাতি হচ্ছে। জানা গেছে ৮’শ কোটি টাকা, কিন্তু নিয়েছে আরো বেশি টাকা।’

প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন,  আইন যদি সবার জন্য সমান হয়ে থাকে তাহলে ৩০০ মিলিয়ন অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ তাকে কেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে না। এখনো কেন তিনি মুক্ত আছেন।

জনগণ বিএনপির পক্ষে আছে দাবি করে জনপ্রিয়তা প্রমাণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, আজকে গণতন্ত্রহীন দেশ। দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই যারা আছে তারা স্বঘোষিত এবং অনির্বাচিত অবৈধ সরকার। তাই এই অবৈধ সরকার যত আইন পাস করুক না কেন তা জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, আজকে জাতীয় সংসদে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। নেই কোনো বিরোধী দল। যারা বিরোধী দলে আছে তারা সরকারেও আছে, আবার বিরোধী দল বলেও নিজেদের দাবি করে। তাই দেশের এই কঠিন সময়েও তারা প্রতিবাদ করতে পারে না, প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। কিন্তু বিএনপি শত বাধা অতিক্রম করেও আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার আদায়ে লড়াই করে যাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এখন বিচারবিভাগ ও বিচারকদের কোনো স্বাধীনতা নেই। যদি আইনের শাসন থাকলে ন্যায় বিচার পেতাম। তাহলে সরকারি দল ও বিরোধী দলসেহ সাধারণ মানুষের জন্য আইন ভিন্নতর হতে পারতো না।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনবিছিন্ন তাই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছেন। যার বড় প্রমাণ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইউপি নির্বাচন।

সিনিয়র বিচারপতি অ্যাডভোকেট টিএইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মাদ নাসীর, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি অধ্যাক্ষ সেলিম ভূইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ।

এফএইচ/এসএইচএস/পিআর