হান্নান মাসউদ
অতি উদার হইতে যাইয়েন না, এত সুশীলতা ভালো না

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, শুধু একটা কথা-ই বলবো। অতি উদার হইতে যাইয়েন না, এত সুশীলতা ভালো না।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মাসউদ লেখেন, এটা হাসিনার তৈরি করে দেওয়া মিডিয়া এস্টাবলিশমেন্ট। এই ফ্যাসিবাদী এস্টাবলিশমেন্ট যেহেতু ভাঙতে পারছেন না। দয়া করে, সুশীলতা দেখাতে গিয়ে এর ভীত আরও শক্ত করে দিয়েন না।
তিনি লেখেন, নিজেরা তো ভুগবেনই, পুরো জাতিকেও ভোগাবেন। আসলেই যদি আগামী প্রজন্মের জন্য, নিজেদের জন্য এই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রব্যবস্থা পূনর্গঠনের উদ্দেশ্যে রাজনীতি করতে চান, অবশ্যই অবশ্যই হাসিনার তৈরি মিডিয়া স্টাবলিশমেন্ট, প্রশাসনিক (সামরিক-বেসামরিক) এস্টাবলিশমেন্ট, এমনকি পলিটিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টও ভেঙে নতুনভাবে গড়তে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও লেখেন,না হয়, যে লাউ-সেই কদুই থেকে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম দুনিয়ায় আসার আগ থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে আরেকটি রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের।
তবুও মুক্তি মিলবে না, যেমনটা চব্বিশেও মিললো না।
বিজ্ঞাপন
ফেসবুকের এই পোস্টটি তিনি এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহকে ট্যাগ করেছেন। এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে গালি দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ উপস্থাপিকাসহ ৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এবার সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার অহ্বান জানিয়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, এখন টিভির সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। আপনার এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। শুধু মত প্রকাশ নয়, দ্বিমত প্রকাশও অব্যাহত থাকুক।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরা যান হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম। এসময় টেলিভিশনটির লাইভ প্রচারণা চলার সময় হাসনাত এবং সারজিসকে নিয়ে দুই উপস্থাপকের মধ্যে কথা বলার সময় ঐ নারী উপস্থাপন গালি দেন। এরই একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে বলেও খবর ছড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে হাসনাত আব্দুল্লাহর ওই ফেসবুক পোস্টের পর তাকে উদ্দেশ্য করেই মাসউদ এ ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এনএস/এসএনআর/এমএস
বিজ্ঞাপন