ক্রিকেটের নিয়ম অনুসারে বিশ্বকাপ ফাইনালে কত রান হওয়া উচিত ছিল

প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

শেষ ওভারে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ১৪ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করলেন স্টোকসরা। কিন্তু আদৌ কি ম্যাচ যাওয়ার কথা ছিল সুপার ওভারে? আবার ভুল আম্পায়ারিং এর শিকার হল ক্রিকেট? কী বলছে আইসিসি-র নিয়ম? দেখে নেওয়া যাক।

১/৯

শেষ ওভারে বল করতে আসেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম দুই বলে রান দেননি। চাপ তৈরি করেন ইংল্যান্ড শিবিরে। প্রথমে ইয়র্কার তারপর অফস্টাম্পের বাইরে বল রেখে খেলতে দেননি স্টোকসকে।

২/৯

কিন্তু তৃতীয় বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডজাত ইংল্যান্ড প্লেয়ার বেন স্টোকস। ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। এর পরের বলেই ঘটে সেই বিতর্কিত ঘটনা।

৩/৯

বোল্টের চতুর্থ বল ফুলটস হয়ে যায়। কিন্তু স্টোকস এ বার মিড উইকেটে মেরে দু’রানের জন্য ছোটেন। গাপ্টিল বল ছোড়েন উইকেট লক্ষ্য করে। সেমিফাইনালে ধোনির সেই আউটের যেন পুনরাবৃত্তি দেখছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু তখনই নতুন মোড় আসে গল্পে।

৪/৯

বল উইকেটে নয়, লাগে ডাইভ দেওয়া বেন স্টোকসের ব্যাটে। শুধু তাই নয় সেই বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ধন্দে পড়েন আম্পায়াররা। কত রান হবে? পাঁচ নাকি ছয়? কিছু সময় পর ছয়ের সিদ্ধান্ত জানান কুমার ধর্মসেনা।

৫/৯

দুই রান ছুটে নিয়েছেন স্টোকস-রশিদ, আর চার রান ওভার থ্রোয়ে। সহজ হিসাব। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আইসিসি-র নিয়মে। কী বলছে নিয়ম?

৬/৯

নিয়ম বলছে, ওভার থ্রোয়ে যদি চার হয়, তবে তার আগে সেই রানই যোগ হবে, যে রান ব্যাটসম্যানরা ফিল্ডার বল ছোড়ার আগে শেষ করেছেন। অর্থাৎ গাপ্টিল বল ছোড়ার আগে যে রানটি স্টোকস ও রশিদ নিয়েছেন, সেই রানই যোগ হবে। প্রথম রান তারা শেষ করলেও দ্বিতীয় রান তারা নেওয়া শুরু করলেও ক্রস করেননি।

৭/৯

অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ রান দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেয়া হয় ছয় রান। এই এক রানই ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। টাই হয়ে যায় ম্যাচ। নিয়ম মেনে পাঁচ রান দিলে হয়তো বদলে যেত ম্যাচের ফল।

৮/৯

ক্রিকেট বড় অনিশ্চয়তার খেলা। ছোট ছোট ঘটনায় বদলে যায় ইতিহাস। কিউয়ি অধিনায়কের কথায়, ‘ম্যাচ টাই হলে প্রতি বল নিয়ে ভাবনা আসে। মনে হয় যা হয়েছে তা পাল্টে গেলে অন্যরকম হত।’