যেসব কারণে ভারত ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৯

রবিবারের ম্যাচে এজবাস্টনের মাঠে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের জমাটি লড়াই দেখার জন্যে মুখিয়ে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু ম্যাচ শেষে ভারতের লজ্জার হারে ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় সমর্থকেরা। ভারত কী ম্যাচ হারল দুর্দান্ত ইংরেজ বাহিনীর সামনে, না নিজেদের দোষে তা জেনে নিন।

১/১১

ক্রিকেট দেবতা সুপ্রসন্ন ছিল ইংল্যান্ডের প্রতি। ম্যাচের গোড়াতেই হার্দিক পান্ডের বলজেসন রয়ের গ্লাভসে ছুঁয়ে ধোনির হাতে জমা পড়ে। আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ না নিয়ে ভুল করেন বিরাট। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল জেসনের গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছে। জীবন ফিরে পেয়ে ৬৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ইংল্যান্ডের এই ডানহাতি ওপেনার।

২/১১

ভাগ্য ভাল না থাকলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়া জনি বেয়ারস্টো হয়ত ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতেন বহু আগেই। একাধিকবার ইনসাইড এজ উইকেটের কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

৩/১১

ম্যাচের শুরু থেকেই আঘাত হানতে ব্যর্থ হন শামি এবং বুমরা। ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট যখন পড়ে ততক্ষণে স্কোর দেড়শো পেরিয়ে গিয়েছে। ছন্দে থাকা জো রুট,বেন স্টোকসদের তাই কোনও অসুবিধাই হয়নি।

৪/১১

ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস যে ইনিংসের শেষ ওভারগুলোয় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন, তা জানা ছিলই। তবু তাকে আটকাতে তেমন কোনো পরিকল্পনাই চোখে পড়ল না।

৫/১১

ডেথ ওভারে বুমরা কৃপণ বোলিং করে ইংল্যান্ডের রান কিছুটা কমাতে পারলেও মহম্মদ শামি বেশ কিছু খারাপ বল করে ফেলেন। বল মাঠের বাইরে পাঠাতে দ্বিধা করেননি স্টোকস।

৬/১১

ভারত বড় রান তাড়া করে এর আগে বহু ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি ভালো ওপেনিংয়ের। লোকেশ রাহুল নয় বলে শূন্য রান করে ফিরে যেতে প্রথমেইকিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত।

৭/১১

বিরাট-রোহিত ম্যাচের হাল ধরেন। রোহিতের ১০৯ বলে ১০২ রান এবং কোহালির ৭৬ বলে ৬৬ রান ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও ছন্দপতন হয় দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যেতেই।

৮/১১

চলতি বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া অনভিজ্ঞ ঋষভ পান্থকে অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ক্রিস ওকস। তবুও হার্দিক পান্ডে ৩৩ বলে ৪৫ রানের মরিয়া চেষ্টা করেন।

৯/১১

ঋষভ পান্থ ফিরে যেতে মাঠে নামেন ধোনি। আস্কিং রেট তখন আকাশ ছোঁওয়া। গ্যালারি জুড়ে তখন ধোনি ধোনি রব। ক্রিজে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফিনিশার। কিন্তু প্রথম থেকেই সিঙ্গলস নিতে থাকেন ধোনি। ক্রমেই বল কমে রান বাড়তে থাকে তাতেও হেলদোল ছিল না ক্যাপ্টেন কুলের। গ্যালারি থেকে ধোনির উদ্দেশে ভেসে আসে টিটকিরি।

১০/১১

ধোনি যতক্ষণে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বল মাঠের বাইরে পাঠালেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। স্কোরবোর্ডে তখন প্রয়োজন ৩ বলে ৩৭ রান। ক্রিজের অপরপ্রান্তেথাকা কেদারের জঘন্য ব্যাটিংয়েও ধরা পড়েনি কোনো লড়াকু মনোভাব।

১১/১১

ভারতের এই হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতবাক গোটা বিশ্ব। নিন্দার ঝড় উঠেছে ধোনির এই গা ছাড়া ব্যাটিংয়ের। কেদারের পরিবর্তে দলে জাদেজাকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার। আপাতত এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল অইন মর্গ্যানদের দল।