ঘর দূষণ মুক্ত রাখবে যেসব গাছ

প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

বাজার থেকে এয়ার পিউরিফায়ার তো আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। কিন্তু তার চেয়ে বহুগুণ ভালো ইন্ডোর প্লান্ট। এগুলো শুধু ঘরকে দূষণ মুক্তই করে না, স্ট্রেসও কমায়। তেমনই কিছু ইন্ডোর প্লান্ট সম্পর্কে জানা যাক।

১/৫

চাইনিজ এভারগ্রিন: নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটির উৎপত্তি চীনে। সে দেশে এটি খুব জনপ্রিয়ও। বাতাসকে দূষণ মুক্ত করে, বাতাসকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ মুক্ত করে। কিন্তু একে লালন পালনের জন্য খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। ছায়াতে ভালো থাকে এরা। তবে খেয়াল রাখতে হয় যেন টবের মাটি ভিজে থাকে।

২/৫

জারবেরা ডেইজি: বাগানের সৌন্দর্যায়নের জন্য জারবেরা একটি অনন্য নাম। কিন্তু এর বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাতাস থেকে দূষিত কণা দূর করার ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তবে এর জন্য শীতকাল ছাড়া সারা বছরই পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি প্রয়োজন হয়। ভালো করে পানি দিতে হয়, যাতে মাটি সব সময় ভিজে থাকে। শোওয়ার ঘর এই গাছ রাখার আদর্শ জায়গা।

৩/৫

এরিকা পাম: বাতাসকে শুদ্ধ করার ব্যাপারে এই ইন্ডোর প্লান্টটির কথা যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এটিকে প্রকৃতি যেন বিশেষভাবে তৈরিই করেছে বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য। এটি বসার ঘরে রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ একটি গাছ। অল্প আলো এবং মাঝে মধ্যে পানি দেয়া ছাড়া বিশেষ যত্নের দরকার পড়ে না।

৪/৫

মানি প্লান্ট: এটি বাংলার ঘরে ঘরে পরিচিত একটি নাম। তবে সেটা এর কার্যকারিতা সম্পর্কে যতটা, তার থেকেও বেশি এর নামের জন্য। এর বাতাস শোধনের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে নাসাও। আলো পড়ে না, এমন যে কোনো ঘরে একে রাখা যেতে পারে। সপ্তাহে একবার পানি দিলেই যথেষ্ট।

৫/৫

স্নেক প্লান্ট: এই গাছটিও বাতাসে অক্সিজেন যোগ করে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দূর করে। এর আরও বিশেষত্ব হল, এটি রাতেও ক্রমাগত বাতাসে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে যায়। বদ্ধ ঘরের ক্ষেত্রে এটি একটি আদর্শ গাছ। একে রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হল শোওয়ার ঘর। জানালার অল্প আলো এবং সপ্তাহে একদিন জল, এদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয়।