উৎপাদনে ধস, পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: ০৭:৫২ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

উজানের পানিতে সৃষ্ট বন্যা এবং টানা বর্ষণে লক্ষ্মীপুরে এ বছর আমন ধানের উৎপাদন অর্ধেকেরও কম হয়েছে। ছবি: কাজল কায়েস

১/১১

সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেতে হাঁটু বা কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় কৃষকেরা সময়মতো আমন চাষ করতে পারেননি।

২/১১

অভিযোগ আছে, কৃষি বিভাগ সময়মতো ধানের বীজ ও চারা সরবরাহ করেননি।

৩/১১

তবে যেসব কৃষকেরা চাষ করতে পেরেছেন, তারা ভালো ফলন ঘরে তুলে পেরেছেন। যদিও তাদের অনেকেই একাধিকবার ধানের চারা রোপণ করতে হয়েছে।

৪/১১

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে এ বছর ৮৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে ৩৫ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

৫/১১

এবার ধান ও গো-খাদ্যের উৎপাদন কম হয়েছে।

৬/১১

জানা গেছে, সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে ভবানীগঞ্জ, চর রমনী মোহন, টুমচর, শাকচর ইউনিয়নের কৃষকেরা ধান চাষ করেছেন।

৭/১১

অন্য ১৭টি ইউনিয়ন, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার অর্ধেক জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে আবাদ করা যায়নি।

৮/১১

কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে বন্যার পানিতে তার ক্ষেতের ধানের চারা পচে গেছে। পরে আবার ধার-দেনা করে আবাদ করেছেন। কিন্তু সব ধান ঝলসে গেছে।’

৯/১১

চরলরেন্স এলাকার কৃষক আবুল কালাম ও চরকাচিয়া গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, পরিচর্যার কারণে এবার তারা ভালো ধান পেয়েছেন। সরকারি ছাড়াও বাজার থেকে তারা বীজ সংগ্রহ করেছেন।

১০/১১

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ইবনে হুসাইন ভুলু বলেন, ‘বন্যার পানির কারণে ধান আবাদ করা যায়নি। অনেক ক্ষেতে কোমর সমান পানি ছিল। সরকারিভাবে কৃষকদের আশানুরূপ সহায়তা দেওয়া হয়নি।’

১১/১১

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী কৃষকদের ব্রি ধান-৭৫ দেওয়া হয়েছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা আবাদ করতে পেরেছেন। এবার আবাদ কম হলেও ভালো ফলন হয়েছে।’