বরগুনা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা বরগুনা। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদ-নদী ও সমুদ্রের বিশালত্ব বরাবরই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সেখানে আছে মনোমুগ্ধকর সমুদ্রসৈকত, পিকনিক স্পট, বনাঞ্চল ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। ছবি: জাহিদুল ইসলাম মেহেদী

১/১৪

বরগুনার তালতলী উপজেলার অন্যতম আকর্ষণ হলো শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। সৈকতটির নির্মল পরিবেশ, সাদা বালি ও নীলাভ জলরাশি দিয়ে পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এখানে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য যে কোনো পর্যটকের মনকে ছুঁয়ে যায়।

২/১৪

কোলাহলমুক্ত এই সমুদ্রসৈকত পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আদর্শ। এলাকাটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনাময়, বিশেষ করে সৈকতের আশপাশে কটেজ ও রিসোর্ট নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।

৩/১৪

বরগুনা সদর উপজেলায় অবস্থিত সুরঞ্জনা পার্ক একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। পার্কটি মনোরম পরিবেশ ও সবুজে ঘেরা বৃক্ষরাজির জন্য সুপরিচিত।

৪/১৪

এটি স্থানীয় পর্যটকদের জন্য বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয় ও পরিবার নিয়ে এখানে পিকনিক করার সুযোগ আছে। পার্কটিতে বসার ব্যবস্থা, কৃত্রিম লেক ও শিশুদের জন্য খেলার ব্যবস্থা আছে।

৫/১৪

বরগুনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হলো ‘টেংরাগিরি বনাঞ্চল’, যা ‘ছোট সুন্দরবন’ নামে পরিচিত। এই বনাঞ্চলে ঘন ম্যানগ্রোভ বন ও বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল।

৬/১৪

পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটা এলাকা সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থিত ও এখানে ম্যানগ্রোভ বন ও নদীর যৌথ সৌন্দর্য আছে। এখানে ভ্রমণকারীরা নদীতে ডলফিনের খেলা দেখতে পারেন।

৭/১৪

বিশেষ করে শীতকালে অনেক পর্যটক এখানে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ও হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখার জন্য।

৮/১৪

বরগুনা জেলায় বেশ কয়েকটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আছে, যা পর্যটকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে। এর মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৯/১৪

বরগুনায় বেশ কয়েকটি সুন্দর পিকনিক স্পট আছে, যা স্থানীয় ও বহিরাগত পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

১০/১৪

বরগুনায় নদী তীরে অবস্থিত ফাতরার চর একটি আদর্শ পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত। এখান থেকে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

১১/১৪

বরগুনা নদী ও সমুদ্রের মিলনস্থলে অবস্থিত, তাই এখানে নদ-নদীর বৈচিত্র্য ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করে। বরগুনায় আছে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদী, যা জেলে ও পর্যটকদের নৌবিহারের জন্য উপযুক্ত।

১২/১৪

বরগুনার নলটোনা সৈকতটি সমুদ্রের নীল জলরাশি ও বালির জন্য পরিচিত। পিকনিক ও অবসর যাপনের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী।

১৩/১৪

বরগুনা তার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে পর্যটনের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখানকার সমুদ্র সৈকত, নদী, বনাঞ্চল ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে বরগুনাকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব।