ছবিতে দেখুন নাগরিকত্ব হারানোদের জন্য তৈরি হচ্ছে জেলখানা

প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভারতের নাগরিকত্ব হারানোদের জন্য আসামে তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প, কী থাকছে এখানে? এর নাম ডিটেনশন ক্যাম্প হলেও এটি বাস্তবে জেলখানার মতই হবে। দেখুন এই জেলখানা তৈরির ছবি।

১/১১

হয় আসল প্রমাণ দাও। না হলে ঠাঁই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। আসামের গোয়ালপাড়ায় প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে শরণার্থী শিবির। তবে শরণার্থী শিবির বললে ভুলই হবে। এ যেন এক জেলখানা।

২/১১

পাঁচিলটা এতটাই উঁচু যে বাইরে চোখ যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। ফেলা আসা দিনগুলো একেবারে অতীত হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত হলে অন্য জগতের বাসিন্দা হবেন লাখ লাখ মানুষ।

৩/১১

গুয়াহাটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাটিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে এই শরণার্থী শিবির। জেলখানা বললেও ভুল হবে না। প্রথম পাঁচিলের উচ্চতা কুড়ি ফুট। আর তারপরও ছয় ফুটের ঘেরাটোপ।

৪/১১

ভিতরটাই বেশ পরিকল্পনা করেই আধুনিক বন্দোবস্ত। ১৫টি চারতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে, এর মধ্যে ২টি মহিলাদের জন্য। থাকবেন ৩ হাজার মানুষ।

৫/১১

একটি ঘরে ৪-৫ জন অনুপ্রবেশকারী থাকবেন। শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যে মহিলারা থাকবেন, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

৬/১১

পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকবে ২.৫ হেক্টর জমি এলাকা। বাইরের পাঁচিল ২০ ফুট উঁচু, ভিতরের পাঁচিল ৬ ফুট উঁচু। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার।

৭/১১

আটক শিবিরে থাকবে একটি হাসপাতাল, একটি অডিটোরিয়াম এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও থাকবে ১৮০টি শৌচাগার এবং ১টি সর্বসাধারণের রান্নাঘর।

৮/১১

গত বছর থেকেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের আশা, ডিসেম্বরের মধ্যে এই বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করে ফেলা যাবে।

৯/১১

প্রায় ৪৬ কোটি টাকা খরচ হবে ওই শিবির প্রস্তুত করতে। আসাম পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশন লিমিটেড এটি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে।

১০/১১

৩১ অগস্ট আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নাগরিক তালিকায় যাদের নাম নেই তারা এখন হন্যে হচ্ছেন। নাগরিকত্ব প্রমাণে অনেকেই ছুটছেন এদিক ওদিক।

১১/১১

হাতে আর মাত্র ১২০ দিন। এরপর শিকড়ের প্রমাণ দিতে না পারলে ঠাঁই হবে এই ডিটেনশন ক্যাম্প। এক অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা হতে হবে তাদের। বিচ্ছিন্ন হতে হবে পরিচিত পরিবেশ থেকে।