৫ টাকার যে দিনমজুর কোটিপতি কুস্তিগীর হয়েছিলেন

প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯

এই কুস্তিগীর ‘দ্য গ্রেট খালি’ নামে পরিচিত। তার পরিচয়ের জন্য এই নামটাই যথেষ্ট। ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি গরিব পরিবারের ছেলে কীভাবে ‘দ্য গ্রেট’ হয়ে উঠলেন এবং তার জীবনের কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন।

১/১৪

আজ গোটা দুনিয়া তাকে দ্য গ্রেট খালি হিসেবেই চেনে। খালির এই গ্রেট হওয়ার পিছনে যে কাহিনি রয়েছে তা শুনলে অবাক হতে হয়। ‘দ্য ম্যান হু বিকেম খালি’ এই বইটিতেই রয়েছে তার সাফল্যের কাহিনি।

২/১৪

হিমাচল প্রদেশের সিরমোর জেলার ধিরাইনা গ্রামের এক গরীব পাঞ্জাবি রাজপুত পরিবারে জন্ম খালির। দুনিয়া তাকে খালি হিসেবে চিনলেও, তার আসল নাম দলীপ সিংহ রাণা।

৩/১৪

হিমাচলের ছোট্ট গ্রামের সেই দলীপ ছিলেন ডব্লুডব্লুইর এক খ্যাতনামা মুখ। ভারতের প্রথম কুস্তিগীর যিনি ডব্লুডব্লুইতে অংশ নিয়েছেন।

৪/১৪

ছোটবেলায় এমনও দিন গিয়েছে, যে আড়াই টাকা স্কুলের ফি দেয়ার মতো সামর্থ্যও ছিল না তার পরিবারের।

৫/১৪

‘দ্য ম্যান হু বিকেম খালি’- এই বইতে খালি বলেছেন, ‘সাল ১৯৭৯। সে বছরে প্রচুর গরম ছিল। ফলে তার পরিবার ফসলের যে চাষ করেছিল সব শুকিয়ে যায়। পরিবারের হাতে টাকা ছিল না। ফলে স্কুলের ফিও দিতে পারেননি। আর ফি দিতে না পারার জন্য স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল তাকে।

৬/১৪

খালির দাবি, স্কুলের শিক্ষক অন্য ছাত্রদের সামনে তাকে অপমান করেছিলেন। বইতে খালি এ প্রসঙ্গে বলেন, সে দিন খুব খারাপ লেগেছিল আমার। স্কুলের সহপাঠীরাও হাসি ঠাট্টা করতে শুরু করে।

৭/১৪

এরপরই খালি সিদ্ধান্ত নেন আর স্কুলমুখো হবেন না। স্কুলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সেই শেষ স্কুলে যাওয়া। এরপরই দিনমজুরের কাজে লেগে পড়েন তিনি।

৮/১৪

দিনমজুরের কাজ করার পাশাপাশি বাবার চাষের কাজেও সাহায্য করতেন। আট বছর বয়স থেকেই মজুরের কাজ শুরু করেন খালি। এর জন্য মজুরি হিসেবে দৈনিক ৫ টাকা পেতেন। আর এই ৫ টাকাই ছিল একরত্তি ছেলের কাছে বড় মূলধন।

৯/১৪

খালিরা সাত ভাইবোন। ছোটবেলায় খালি অ্যাক্রোমেগালি নামে এক দুর্লভ রোগের শিকার হন। তারপর থেকেই তার চেহারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এই রোগের বিশেষত্ব হল, দেহের আকৃতি বিশাল হয়। মুখ লম্বাকৃতি হয়।

১০/১৪

তার বিশাল চেহারার জন্য খালি এরপর ভারতের শিমলাতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পান। এই কাজ করার সময় এক পুলিশ অফিসারের চোখে পড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাব পুলিশে যোগ দেন তিনি।

১১/১৪

পুলিশ নয়, কুস্তিগীর হওয়ার লক্ষ্য ছিল খালির। তাই জালন্ধরে পৌঁছেই জিমে ঢোকেন। নিজেকে কুস্তিগীর হিসেবে প্রস্তুত করেন। ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে পরপর দু’বার মিস্টার ইন্ডিয়া হন তিনি।