অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়

প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২

লবণ খাবারের স্বাদ বাড়ালেও বেশি লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এবার জেনে নিন যেসব কারণে অতিরিক্ত লবণ খাবেন না।

১/৮

রান্না করার সময় স্বাদের জন্য যতটা দরকার ততটা লবণ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত। কিন্তু অনেকেই খেতে বসার সময় পাতে একটু কাঁচা লবণ নেন। এটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি এমন কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে জীবন থেকে নিঃশব্দে চলে যাবে কয়েকটা বছর। এমনকী আচমকা মৃত্যুও অসম্ভব নয়। সম্প্রতি ৫ লাখ ব্রিটিশের উপর সমীক্ষা চালানোর পর সামনে এসেছে এই তথ্য। ছবি: সংগৃহীত

২/৮

১১ জুলাই ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। অতিরিক্ত লবণ শরীরে কী প্রভাব ফেলে তা জানতে ৫ লাখের বেশি ব্রিটিশ নাগরিকের উপর প্রায় ৯ বছর ধরে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত লবণ নেন না এমন মানুষের তুলনায় যারা ঘন ঘন লবণ খান তাদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ২৮ শতাংশ বেশি। ছবি: সংগৃহীত

৩/৮

টুলানি ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক এবং সমীক্ষার প্রধান লু কুই বলেন, ‘আমার জানা মতে এমন গবেষণা আমরাই প্রথম করলাম। এটা থেকে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, বাড়তি সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে পারলে শরীর ভালো থাকবে’। ছবি: সংগৃহীত

৪/৮

বাড়তি নুন কীভাবে পুরুষ এবং মহিলাদের আয়ুকে প্রভাবিত করে: খেতে বসে যারা বাড়তি লবণ নেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। ৫০ বছর বয়সী যেসব পুরুষ অতিরিক্ত লবণ খান তাদের জীবন থেকে প্রায় ২.২৮ বছর আয়ু কমে গিয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে এটা ১.৫ বছর। ছবি: সংগৃহীত

৫/৮

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম (দিনে ২ গ্রামের কম সোডিয়াম গ্রহণ দিনে ৫ গ্রাম নুন খাওয়ার সমান) গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। একটা সময়ের পর এটা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

৬/৮

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং করোনারি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

৭/৮

অত্যধিক লবণ খাওয়া হচ্ছে কি না তা অনেকভাবে বোঝা যায়। এর মধ্যে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো, শরীরে ফোলা ভাব, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ঘন ঘন তেষ্টা এবং প্রস্রাব পাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত এবং দুর্বলতা। ছবি: সংগৃহীত

৮/৮

ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস কম লবণযুক্ত খাবার কেনাকাটা করার পরামর্শ দেয়। স্ন্যাক্স বা প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় পুষ্টির লেবেল দেখে নিতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে কোন খাবারে কত লবণ আছে। তবে কম নুনে রান্না করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বদলে বেশি করে কালো মরিচ, ভেষজ এবং মশলা ব্যবহার করা যায়। ছবি: সংগৃহীত