শীতে সর্দি-কাশি-জ্বর কমাবে ৫ যোগাসন

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

শীতে অনেকেই সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভোগেন। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয়। তবে ওষুধ ছাড়াও যোগব্যায়াম করে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জেনে নিন এসব যোগব্যায়াম বা যোগাসন সম্পর্কে।

১/৯

শীতে ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। সঙ্গে নিয়মিত করতে হবে যোগব্যায়াম। ইমিউন সিস্টেম শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জীবাণুর বংশবিস্তার রোধ করার চেষ্টা করে। ব্যায়াম করলে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়। ছবি: সংগৃহীত

২/৯

বিশুদ্ধ বাতাস জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করে। কাজেই যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের চট করে সর্দি-কাশি ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ হয় না। শরীরে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এর কারণে রোগপ্রতিরোধ শক্তি যেমন বাড়ে তেমনই ওজন বশে থাকে বলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত

৩/৯

বলাসন, প্রথম ধাপ: প্রথমে হাঁটু মুড়ে সমতল স্থানে বসতে হবে। দুই হাঁটু ও দুই পায়ের পাতা থাকবে একত্রিত। নিতম্ব থাকবে দুই গোড়ালির উপর। দ্বিতীয় ধাপ: দুই হাত সোজা রেখে কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলতে হবে। তারপর শ্বাস টেনে শরীরকে সামনের দিকে বাঁকিয়ে মাটি স্পর্শ করানোর চেষ্টা করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

৪/৯

তৃতীয় ধাপ: কপাল এবং নাক মাটিতে ঠেকে থাকবে। চিবুক থাকবে হাঁটু থেকে দূরে। বুক আর পেট পুরোপুরি উরুর উপর চেপে বসবে। চতুর্থ ধাপ: এইভাবে ৩০ সেকেন্ড স্থির থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

৫/৯

ধনুরাসন, প্রথম ধাপ: উপুড় হয়ে শুয়ে পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গোড়ালি দুটি জোড়াভাবে নিতম্বের কাছে আনতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ: এবার দুহাত দিয়ে পায়ের গোছা দুটো বেশ শক্ত করে ধরে বুক এবং ঊরু মাটি থেকে ওপরের দিকে টেনে তুলতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

৬/৯

তৃতীয় ধাপ: শুধু তলপেটটুকু মাটিতে ঠেকে থাকবে। চতুর্থ ধাপ: এই অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো স্থির থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

৭/৯

সেতু বন্ধনাসন, প্রথম ধাপ: পিঠে ভর দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। হাত থাকবে শরীরের সঙ্গে লেগে। দ্বিতীয় ধাপ: এবার হাঁটু ভাঁজ করে করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে পিঠের নিচের অংশের ভার উপরে ওঠাতে হবে। শুধু কাঁধটুকু লেগে থাকবে মাটিতে। তৃতীয় ধাপ: ১০-১৫ সেকেন্ড করে এই অবস্থায় থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। বেশ কয়েকবার এই আসন অনুশীলন করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

৮/৯

ভূজঙ্গাসন, প্রথম ধাপ: প্রথমে একটি সমতল জায়গায় উপুড় হয়ে শুতে হবে। হাতের তালু দুটি ভাঁজ করে পাঁজরের দুপাশে কাঁধের নিচে থাকবে। দ্বিতীয় ধাপ: এবার কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে শরীরের বাকি অংশ হাতের তালুর উপর ভর রেখে ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলতে হবে। এবার ধীরে ধীরে মাথাটাকে সামান্য বাঁকা করে উপরের দিকে তাকাতে হবে। তৃতীয় ধাপ: এই অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো স্থির থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

৯/৯

শবাসন, প্রথম ধাপ: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। পা থাকবে সোজা। হাত থাকবে শরীরের পাশে। দ্বিতীয় ধাপ: হাত ও পা শিথিল রাখতে হবে। হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে। তৃতীয় ধাপ: এবার চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত