যেসব ভুল করলে যে কোনো মুহূর্তে ডায়রিয়া হতে পারে

প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ০৮ জুন ২০১৯

গ্রীষ্মকাল মানেই বিশেষ কিছু অসুখের আনাগোনা। গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যখন তখন ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক বা একটু খাওয়া-দাওয়ার এ দিক ও দিক এ সবের হাত ধরেই হানা দেয় নানা অসুখ। এদের মধ্যে অন্যতম ডায়রিয়া। আর একবার এই রোগ হলে একদিনেই শরীর দুর্বল। এমনকি, বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতাল পর্যন্ত গড়ায় অসুখ।

১/১২

মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা এতে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে এই অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে।

২/১২

ডায়রিয়া মূলত জলবাহিত ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীরের পানি বেরিয়ে যায় বলে এই অসুখ খুবই দুর্বল করে তোলে। দরকারে স্যালাইন দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে কাঠফাটা রোদে জলও খাওয়ায় নজর না দিলে এই অসুখের শিকার হতে পারেন আপনিও। তবে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলো নিয়ম মানতেই হবে।

৩/১২

চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ এড়ানোর উপায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। রান্নাঘর থেকে খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসনকোসন ধোয়া মাজার জন্য পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময় ব্যবহার করুন পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি। পারলে সেটাও ফিল্টারের পানি হলে ভালো হয়।

৪/১২

ডায়রিয়া রুখতে তো বটেই, তা ছাড়াও সারা বছরই পরিষ্কার পানি খান। রাস্তাঘাটের যে কোনো জায়গা থেকে পানি খাবেন না। মিনারেল ওয়াটার বা ফোটানো জল খান। তবে ডায়রিয়া আক্রান্ত অঞ্চলে বাস করলে আর একটু বেশি সচেতন হতে হবে।

৫/১২

চিকিৎসকদের মতে, ডায়রিয়া আক্রমণ আপনার স্থানীয় এলাকায় হলে নিয়ম করে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করান। পানি ফুটিয়ে তাতে জিওলিন ফেলে খান। ফিল্টার করা পানিতেও জিওলিন ফেলে খেতে পারেন।

৬/১২

এ ছাড়াও কিছু সতর্কতা মেনে চলুন। যেমন, খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই খান। ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তবেই খান। কারণ, খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। সেগুলোও ডায়রিয়াকে ডেকে আনে।

৭/১২

রাস্তার খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে, ফুচকা, ঘুগনি, মোমো জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। মোট কথা, যে সব খাবারে টকজল বা স্যুপের আকারে পানি সরাসরি পেটে যায়, তাদের এড়িয়ে চলুন। এমনিতেও পানি ছাড়া রান্না হয় না। তাই অপরিষ্কার হোটেল বা রেস্তরাঁ থেকে খাবেন না। এড়াতে হবে স্ট্রিট ফুডও।

৮/১২

গরমে ফল খাওয়া ভালো। তা বলে কাঠফাটা গরমে বেড়িয়েই রাস্তারকাটা ফল খাবেন না। গোটা ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে খান।

৯/১২

শরবত, ঘোল, লেবুর পানি এ সব রাস্তার দোকান থেকে একেবারেই নয়। বাড়িতে পরিষ্কার করে বানিয়ে খান এ সব। একান্তই বাইরে খেতে হলে খুব পরিষ্কার দোকান থেকে খান।

১০/১২

সবজি কিনে রান্না করার আগে বেশ কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর রান্না করুন। এতে শাক-সবজির গা থেকে রাসায়নিক, রং ও সারের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন মুক্ত হয় কিছুটা, তেমনই সব্জি ধোওয়ার সময়ও জলের জীবাণুদের রুখে দেওয়া যায়।