পরকীয়ার সম্পর্ক স্বামী লুকাচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২২

বর্তমানে পরকীয়া সমস্যাটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। এর কারণে অনেকের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। সংসারের সুখ শান্তি নষ্ট হচ্ছে। জেনে নিন পরকীয়ার সম্পর্ক স্বামী লুকাচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে।

১/৬

দাম্পত্যের মূল ভিত্তি আস্থা ও বিশ্বাস। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই বিশ্বাসের ফাটল দিয়েই প্রবেশ করে পরকীয়া। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দাম্পত্য এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক। সম্পূর্ণ বোঝা না গেলেও পরকীয়ার কিন্তু আভাস পাওয়া যায় আচার আচরণে। অনেক সময় সূক্ষ্ম পরিবর্তনেও লুকিয়ে থাকে অমোঘ ইঙ্গিত। তাই খেয়াল করতে ভুলবেন না। ছবি: সংগৃহীত

২/৬

অফিসে নবাগতা কারোর কথা কি প্রায়ই বলছেন আপনার স্বামী? বিশেষ করে প্রসঙ্গ না থাকলেও টেনে আনছেন তাকে? খেয়াল করুন তো কোনো বিশেষ রেস্তরাঁ বা ক্যাফের প্রশংসা ইদানীং বার বার শুনেছেন কিনা স্বামীর মুখে? আগে হয়তো এই প্রসঙ্গ আসতোই না আপনার স্বামীর কথায়, কিন্তু এখন আসছে। তাই সতর্ক হোন। হতে পারে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন আপনার জীবনসঙ্গী। ছবি: সংগৃহীত

৩/৬

তবে নতুন কারোর প্রতি আগ্রহ দেখানো মানেই পরকীয়া বা প্রতারণা নয়। কিন্তু আপনার স্বামী তার সঙ্গে বেশি সময় তো কাটাচ্ছেন। সেই সম্পর্ক বন্ধুত্বের সীমা অতিক্রম করলেই জটিলতার আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত

৪/৬

সম্পর্কে আবেগের নৈকট্যও গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে যদি স্বামী এবং আপনার মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে, তাহলে কিন্তু আপনাদের মধ্যে শীতলতা আসছে। ভেবে দেখুন আপনার সঙ্গে আপনার স্বামী যে মনের কথাগুলো শেয়ার করতেন, সেগুলো আর করছেন কিনা। যদি বুঝতে পারেন আপনার স্বামী এখন আগের মতো আপনার সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিচ্ছেন না, তাহলে স্পষ্ট করে কথা বলুন তার সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত

৫/৬

কোনো কোনো চাকরিতে একাধিকবার অফিশিয়াল ট্যুর থাকে। কিন্তু আপনার স্বামী কি আগের তুলনায় বেশি বার ‘অফিসের কাজে’ বাইরে যাচ্ছেন? এই সুযোগে তিনি আপনার কাছে কিছু গোপন করছেন না তো? এ সব বিষয়ে সন্দেহ না করে পরিষ্কার করে কথা বলুন স্বামীর সঙ্গে। এতে সাময়িক বিতণ্ডা বা তিক্ততা হয়তো হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য সেটা আদতে স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত

৬/৬

স্বামীকে অকারণে সন্দেহ করবেন না। এতে সম্পর্ক বা দাম্পত্য আরও বিষিয়ে উঠবে। আচরণে পরিবর্তন এলে নিজে অযথা আকাশপাতাল দুশ্চিন্তা করবেন না। কোনোরকম সমস্যা হলেই স্বামীর সঙ্গে স্পষ্ট করে কথা বলুন। দরকারে পরামর্শ নিন মনোবিদের। ছবি: সংগৃহীত