সুশান্তের টুইট ডিলিট করা হয়েছে কেন ?

প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ০১ জুলাই ২০২০

মুছে ফেলা হয়েছে বলিডের সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের একাধিক টুইট। অভিযোগ এবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দিকেই। জেনে নিন এ সম্পর্কে।

১/১২

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের রহস্যমৃত্যুতে নতুন মোড়। এবার তাদের এক পারিবারিক বন্ধু মুম্বাই পুলিশের কাছে আবেদন করলেন, যাতে সুশান্তের আর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জেরা করা হয়। কারণ ওই পারিবারিক বন্ধুর অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ বন্ধুই সুশান্তের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে ছেলেখেলা করছেন!

২/১২

ইনস্টাগ্রামে সুশান্ত শেষ পোস্ট করেছিলেন ৩ জুন। মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে আবেগঘন বার্তায় পোস্ট লিখেছিলেন। সেই পোস্টের নীচে সম্প্রতি সংগ্রাম সিংহ লিখেছেন, এই মৃত্যুরহস্যের সিবিআই তদন্ত করা হোক।

৩/১২

সুশান্তের বন্ধু সংগ্রামের বক্তব্য, তার এই পোস্ট ডিলিট করে দেয়া হয়। বিকাশ বর্মাও এই মর্মে অভিযোগ করেন। অভিযোগ, এখানেই শেষ নয়। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে চার জনকে ‘আনফলো’-ও করে দেয়া হয়।

৪/১২

অর্থাৎ মৃত্যুর পরেও সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল নিয়ে কেউ বা কারা যা ইচ্ছে তাই করে চলেছেন। এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান সুশান্ত সিংহ রাজপুতের পারিবারিক বন্ধু নীলোৎপল।

৫/১২

নীলোৎপলের অভিযোগের তির সুশান্তের আর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপের দিকে। সুশান্ত যে সময়ে তারকা হননি, সেই সময় থেকে তার খুব কাছের বন্ধু সন্দীপ সিংহ। সন্দীপ প্রথমে সাংবাদিক ছিলেন। তারপর প্রোডিউসার হিসেবে যোগ দেন। কাজ করতেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সঙ্গে।

৬/১২

অন্য দিকে, সুশান্ত নিজের প্রতিভার জোরে হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। তবে তাদের বন্ধুত্ব রয়ে যায় আগের মতোই অমলিন। ‘বন্দে ভারতম’ বলে সন্দীপ একটি ছবি করবেন ঠিক করেছিলেন। সেখানে সুশান্তের অভিনয় করার কথাও ছিল।

৭/১২

কয়েক দিন আগে সুশান্ত-অঙ্কিতাকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সন্দীপ। বলেছিলেন, অঙ্কিতাই ছিলেন সুশান্তের বেস্ট ফ্রেন্ড। শুধু প্রেমিকা নয়। তিনি ছিলেন সুশান্তের মা-ও। সন্দীপের উপর ইন্ডাস্ট্রির কোনো প্রভাবশালী মহল চাপ সৃষ্টি করছে বলে ধারণা নীলোৎপলের।

৮/১২

সন্দীপ বলেছেন এই ঘটনায় স্বজনপোষণ জড়িত না। একতা কাপুরের নামও তিনি সুশান্তে—র মৃত্যুরহস্যে তুলতে নিষেধ করছেন। নীলোৎপলের প্রশ্ন, যেখানে পুলিশের তদন্ত শেষ হয়নি, সেখানে এখনই এই ধরনের কথা কী করে সন্দীপ বলতে পারেন?

৯/১২

সুশান্তের মৃত্যুসংবাদ জানাজানি হওয়ার পরে সন্দীপই সবার আগে তার বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। তার সই করার পরেই ময়নাতদন্ত হওয়া সুশান্তের দেহ হাসপাতাল থেকে দেয়া হয় পরিজনদের।

১০/১২

ফলে প্রথম থেকেই এই ঘটনায় সন্দীপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নীলোৎপলের দাবি, সন্দীপকে পুলিশে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করুক, পরীক্ষা করা হোক তার ফোনের কললিস্ট, দেখা হোক সুশান্তের মৃত্যু পর তিনি ইন্ডাস্ট্রির কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।

১১/১২

ঘটনার তদন্তে সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ও হ্যান্ডলগুলো খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছে পুলিশ। পুলিশের ধরণা, এর আগেও সুশান্তের পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় সুশান্তের শেষ টুইট দেখা যাচ্ছে ২০১৯-এর ২৭ ডিসেম্বরে।