বিগ বসের ঘরে যে রহস্যগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানেন না

প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

‘বিগ বস’-এর মতো বর্ণময় এবং জনপ্রিয় টেলিভিশন শো বিনোদন জগতে বিরল। অসংখ্য দর্শক অধীর আগ্রহে প্রথমদিন থেকে এই শো-এর অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু বিগ বস-এর মুগ্ধ ভক্তরাও জানেন না, এই শো ঘিরে লুকিয়ে আছে কত রহস্য।

১/১৩

এই শো কি পুরোটাই আগে থেকে নির্ধারণ করা থাকে? বাড়িতে যে অতিথি আসবেন, তার সম্পর্কে কি আগে থেকেই বাড়ির লোকজন জানতে পারেন? যারা জয়ী হন, তাদের নাম কি আগে থেকেই স্থির করা থাকে? আসুন, জেনে নিই সে রকমই কিছু রহস্য।

২/১৩

প্রতি মরসুমে বিগ বস-এর বাড়িতে আসা নতুন অতিথিকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ থাকে না। তাই শো শুরুর আগে প্রত্যেক প্রতিযোগীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।

৩/১৩

প্রতিযোগীদের আসল নাম-পরিচয় গোপন রেখে একটা করে সাঙ্কেতিক নাম বা কোড নেম দেওয়া হয়। যাতে ইউনিটের ক্রু রাও কিছু টের না পান।

৪/১৩

বিগ বস-এর ত্রয়োদশতম মরসুম বা সিজন থার্টিন-এর কথা-ই ধরুন। সেখানে সিদ্ধার্থ শুক্লর সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘হাল্ক’। রশ্মির নাম ‘দেশি কুড়ি’। দেবলীনার নাম ‘বহুরানি’। মাহিরার নাম ‘ডিভা’। শেহনাজের নাম ‘গীত’। আসমের নাম ‘হাঙ্ক’। পরশ ছাবড়ার নাম ছিল ‘প্রিন্স’। আরতির নাম ‘সিঙ্ঘম’।

৫/১৩

‘বিগ বস’ শো-এর ইউএসপি হল প্রতিযোগীদের সব কাজ নিজেদের হাতেই করতে হয়। ঘর পরিষ্কার, রান্না করা, বাসন মাজার মতো ঘরগৃহস্থালির কাজ নিজেদের হাতেই করতে হয়। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে খাবার এলে তাতে আনন্দের সীমা থাকার কথা নয়। বাঁধভাঙা আনন্দই হয় প্রতিযোগীদের যখন খাবার আসে স্বয়ং সালমানের বাড়ি থেকে। জানলে আশ্চর্য হবেন, প্রত্যেক উইকএন্ডে বিগ বস-এর বাড়িতে সবার জন্য থাকে সালামন খানের বাড়ির রান্না।

৬/১৩

বিগ বস-এর নিয়মিত দর্শকরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে এই বাড়ির অন্দরসজ্জার অন্যতম উপকরণ আয়না। চারদিকে সাজানো আছে বিভিন্ন মাপের আয়না। তবে এ গুলো কিন্তু সবই একমুখী আরশি বা ওয়ান ওয়ে মিরর।

৭/১৩

এর মাধ্যমে ইউনিটের ক্রু-রা সবাই প্রতিযোগীদের দেখতে পান। কিন্তু প্রতিযোগীরা তাদের কাউকে দেখতে পান না। তবে মাঝে মাঝে তারা আয়নার পিছন থেকে ক্রু-দের হাসি বা হাল্কা কথাবার্তার শব্দ শুনতে পান।

৮/১৩

বিগ বস-এর প্রতিযোগীদের জন্য থাকে মোটা অঙ্কের জরিমানার আশঙ্কা। কোনো কারণ ছাড়া শো ছাড়লে অথবা কাউকে বিগ বস নিজেই বহিষ্কার করলে সেই প্রতিযোগীকে দিতে হবে দুই কোটি টাকা।

৯/১৩

বিগ বস-এর সেটে ঘড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেটে কোনো ঘড়ি নেই। প্রতিযোগীদের সঙ্গেও ঘড়ি থাকে না। সূর্যের অবস্থান দেখে প্রতিযোগীদের সময় আন্দাজ করে নিতে হয়।

১০/১৩

ঘড়ি ছাড়া আরো অনেক জিনিস রেখে আসতে হয় বিগ বস-এর বাড়ির বাইরেই। টুপি, বই, রোদচশমা, দামি ব্র্যান্ডেড জুতো, ব্লো ড্রায়ার বা কোনো ধর্মগ্রন্থ নিয়ে সেখানে প্রবেশ করা যায় না। নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা দেখার জন্য কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয় প্রতিযোগীদের জিনিসপত্র।

১১/১৩

বিগ বস-এর প্রতিযোগীরা ঠিকমতো ঘর সাফাই না করলে ময়দানে নামেন স্বয়ং বিগ বস। তিনি পেশাদার হাউজ কিপিং-এর লোক পাঠিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করান।

১২/১৩

দীর্ঘ তিন মাস প্রতিযোগীদের থাকতে হয় বিগ বস-এর বাড়িতে। একবারে এত জিনিস নিয়ে প্রবেশ সম্ভব নয়। তাই প্রতিযোগীদের একটি যোগাযোগের নম্বর দিয়ে রাখতে বয়। যখন যা কিছু দরকার, ওই নম্বরে ফোন করে চেয়ে নেয়া হয়।

১৩/১৩

কর্তৃপক্ষের দাবি, এই রিয়েলিটি শো কোনোভাবেই স্ক্রিপ্টেড নয়। পাশাপাশি, প্রতিযোগীদের ভোট গণনার জন্য পেশাদার অডিটরদের নিয়োগ করা হয়। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করেন। প্রোডাকশন টিমের সঙ্গেও তাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না।