স্মৃতির অ্যালবামে এটিএম শামসুজ্জামান

প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ছবিতে দেখুন এটিএম শামসুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবন।

১/১০

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। ছবি: সংগৃহীত

২/১০

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনায় আসেন। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

৩/১০

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। ছবি: সংগৃহীত

৪/১০

এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে এটিএম শামসুজ্জামানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

৫/১০

তার নাম আসল আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। সংক্ষেপে এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত। তিনি অভিনয় ছাড়াও পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও গল্পকার হিসেবেও সফলতা পেয়েছেন। তিনি আরও যেসব ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তা হচ্ছে ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’ ও ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’। ছবি: সংগৃহীত

৬/১০

শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে। ‘জলছবি’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘রামের সুমতি’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

৭/১০

এটিএম শামসুজ্জামানের অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। এর আগে নারায়ণ ঘোষ মিতার লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও খল চরিত্রে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ও ‘স্বপ্নের নায়ক’। ছবি: সংগৃহীত

৮/১০

এছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন এটিএম শামসুজ্জামান। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘অচেনা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’ ও ‘চোরাবালি’। ছবি: সংগৃহীত

৯/১০

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এটিএম শামসুজ্জামানকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত