শরীয়তপুরের পদ্মার ভাঙনে অনেক পরিবার ঘর ছাড়া

প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের জিরো পয়েন্টে পদ্মা নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। এরমধ্যে উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি গ্রামের ভাঙনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। অনেক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

১/১০

গত ছয়দিনের ব্যবধানে পদ্মা নদীর ভাঙনে উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি গ্রামের ভাঙনে বিলীন হয়েছে পদ্মাপাড়ের ১৫ বিঘা ফসলি জমি। ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে ৯টি পরিবার। মো. ছগির হোসেন

২/১০

জানা গেছে, পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি গ্রামের জিরো পয়েন্টের শাহজাহান খানের বাড়ি থেকে শুরু করে সিরাজুল বেপারীর বাড়ি পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙনপ্রবণ। মো. ছগির হোসেন

৩/১০

গত বারো বছরে নদীভাঙনের কবলে পড়ে এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। কিন্ত এ বছরও এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত ছয় দিনে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে গেছে গ্রামটির সিরাজুল বেপারী, ইদ্রিস বেপারী, মজিবর ছৈয়াল, আবু কালাম মৃধা, সজল তালুকদার, শাহজাহান খা, রুবেল বেপারী, নুরু বেপারী ও কালাম বেপারী।

৪/১০

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, পদ্মা নদীতে তীব্র স্লোত থাকায় নদীতে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় ঢেউ। ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে জাজিরা উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি এলাকার পদ্মার পাড়। গত ছয় দিনে পদ্মা পাড়ের ফসলি জমি ও গাছপালা ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে। মো. ছগির হোসেন

৫/১০

ভাঙন আতঙ্কে গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি তুলে ফেলে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। সরেজমিন উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি এলাকার পদ্মার তীরে দেখা যায়, নদীতে প্রচুর স্রোত বইছে। স্রোতের ঢেউএ পাড় ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পাশেই কয়েকটি শূন্য ভিটা পড়ে আছে। মো. ছগির হোসেন

৬/১০

দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েক দিন আগেও এখানে ছিল বসতবাড়ি। হয়তো নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে পরিবারগুলো অন্যত্র গেছে। আর এ ভাবনাকে সত্য বলে জানালেন স্থানীয় কয়েকজন। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছে। মো. ছগির হোসেন

৭/১০

সিরাজুল বেপারী, লাইলি বেগমসহ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই বলেন, বাব-দাদার ভিটে মাটিতে থাকতাম। কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে ভিটে মাটি চলে গেল নদীতে। অন্যের জমিতে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখনো কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। মো. ছগির হোসেন

৮/১০

পূর্ব নাওডোবা ইউপি সদস্য মঙ্গল মাদবর জানান, কয়েক দিন ধরে নদীতে স্রোত বইছে সাথে পানিও বেড়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে প্রবল স্রোতে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে। মো. ছগির হোসেন

৯/১০

আতঙ্কে স্থানীয় নয়টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। নদীর পাড় থেকে প্রায় ১০০ গজ ভেতরের দিকে কয়েক দিন আগেও কয়েকটি বসতভিটা ছিল বলে তিনি জানান। মো. ছগির হোসেন

১০/১০

পূর্বনাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান লাল চাঁন মাদবর বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই পরিবারগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ত্রাণসহ সকল সহযোগিতা করা হবে। মো. ছগির হোসেন