ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বাবাদের অন্যরকম শপথ

প্রকাশিত: ০৫:১২ এএম, ১৫ মে ২০১৬

বর্তমান আইন অনুযায়ী আঠারো বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ হলেও গবেষণা বলছে এখনো দেশের ৬৪ শতাংশ মেয়ের তার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও এটা ঠেকানো যাচ্ছে না। আর্থ-সামাজিক নানা বাস্তবতাই এর মূল কারণ। তবে এক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে অবস্থার উন্নতি সম্ভব।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক সংগঠনও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করছে। তবে বাল্য বিয়ে রোধ সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রমের টার্গেট থাকে মেয়েরা। অথচ এ ব্যাপারে মেয়েদের মতামতকে খুব কমই গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে যদি বাবাদের বুঝানো যায় বাল্য বিয়ের ক্ষতি সম্পর্কে তাহলে কাঙ্খিত ফল লাভ সম্ভব। এ রকম একটি শুভ উদ্যোগের কথা জানা গেল সহযোগী একটি দৈনিকের খবরে। টাঙ্গাইলের সখীপুরে ‘সন্তানের জীবন গঠনে ভালো বাবার ভূমিকা, শিশু বিয়ে বন্ধে বাবাদের করণীয় ও সামাজিক দায়িত্ব’ শীর্ষক ভালো বাবা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয় গুড নেইবারস কার্যালয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, একজন বাবাই পারেন মেয়েদের জীবন সুরক্ষা ও ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দিতে। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণির ২৭০ জন ছাত্রী ও তাদের বাবা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বাবাদের বাল্য বিয়ে বন্ধে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।  

আসলে একজন দায়িত্বশীল বাবাই পারেন বাল্য বিয়ে রোধে ভূমিকা রাখতে। যদি বাবাদের বুঝানো যায় যে তার কমবয়সী মেয়ের বিয়ে হলে জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে তাহলে অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন ঘটবে। এ কারণে বাবাদেরই দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারাই বড় ভূমিকা রাখেন।

আর বাল্য বিয়ের কারণগুলোও দূর করা সম্ভব হলে এ অভিশাপ থেকেও মুক্তি মিলবে। এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন প্রয়োজন। অনেক সময় কম যৌতুক কিংবা যৌতুক ছাড়াই পাত্রস্থ করা যায় বলে কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দিতে চান অভিভাবকরা। আর্থ-সামাজিক নানাবিধ কারণে বিয়ে দিয়েই ঝামেলামুক্ত হতে চান অনেক অভিভাবক। অথচ এর পরের বিষয়গুলোর কথা তারা ভাবেন না। বয়স কম থাকায় শারীরিক নানা সমস্যাসহ পারিবারিক অনেক সমস্যারও সৃষ্টি হয়। কিশোরী মা যার নিজেরও শারীরিক বিকাশ হচ্ছে আবার তার গর্ভে বেড়ে উঠছে শিশু-এটা এক বিপদজনক পরিস্থিতি। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রেও বাল্য বিয়ের ভূমিকা রয়েছে। কাজেই এ ব্যাপারে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সখীপুরের এই শুভ উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।  

এইচআর/এমএ/এমএস

আরও পড়ুন