ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

দাম বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করুন

প্রকাশিত: ০৫:০৫ এএম, ০৫ মে ২০১৬

দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার কথা বার বার উচ্চারিত হলেও বাজারে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যে কোনো উসিলায়ই হঠাৎ করেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সামনে রমজান মাস। রমজানে ডাল, ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর ও ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ভোজ্যতেল ছাড়া সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে দাম বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে টিসিবিকে সক্রিয় করাসহ নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

রমজানকে সামনে রেখ দেড় মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খোলা চিনি এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি ও নেপালি ক্যাঙ্গারু মসুর ডালের দাম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। তবে টিসিবির মসুর ডালের কেজি ৯০ টাকা। টিসিবির সঙ্গে বাজারে বিক্রি হওয়া ডালের দামের ব্যবধান কেজিতে ৪০ টাকার বেশি। এটা ভাবা যায়! মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ ও রসুনের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চীনা রসুন পৌঁছেছে ২০০ ও দেশি রসুন ১০০ টাকায়। লবণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা কেজিতে।

মূল্যবৃদ্ধির এই অশুভ প্রবণতা বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।  নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে রাখা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। মানুষজন এমনিতেই নানা সংকটে আছে। তারওপর হঠাৎ হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে সেটা ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবেই দেখা দেয়। এটা ঠিক মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে খুব একটা নেই। তবে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ যদি ঠিক রাখা যায় তাহলে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট খুব একটা সুবিধা করতে পারে না। এ জন্য টিসিবিকে কার্যকর করে একটি প্যারালাল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার কথা বার বার বলা হলেও কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। এ জন্য সিন্ডিকেট চক্রের পোয়াবারো। তারা যে কোনো উসিলায় যে কোনো  পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত বছর ঈদুল আজহার আগে ২৫ টাকার পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠিয়েছিল এই অসাধু চক্রই। এবারও লক্ষণ খুব একটা ভাল দেখা যাচ্ছে না। তাই এখনই দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরা দরকার।

একমাস পরই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় পেঁয়াজের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সিন্ডিকেট ধারীরা ওঁৎ পেতে থাকে এধরনের সুযোগ নেওয়ার জন্য। তারা যাতে সেই সুযোগ নিতে না পারে এ জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তাছাড়া বাজারে  টিসিবির মাধ্যমে পণ্যের সরবরাহও ঠিক রাখতে হবে।  ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শুধু মুনাফার লোভ কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে সরকার, ব্যবসায়ীমহলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

এইচআর/আরআইপি

আরও পড়ুন