শহীদ জননী এখনও অপরিহার্য কেন
বাঙালির জাতীয় জীবনে তিনি অপরিহার্যই থেকে যাবেন। তিনি থাকবেন একজন দ্যুতিময় সংগ্রামী জননী হয়ে। থাকবেন এই প্রজন্মের শাণিত চেতনায়।
সবসময়ই আমার খুব মনে পড়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে। যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, এর অাংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এই বাংলাদেশে। আমার মনে পড়ছে শহীদ জননীর লেখা শেষ চিঠিটির কথা। যে চিঠিটি এই প্রজন্মের প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক তরুণ-তরুণীর পড়া দরকার। তিনি তাঁর সেই চিঠিতে যা লিখেছিলেন, তা আরেকবার পাঠ করা যাক। তিনি লিখেছিলেন-
‘সহযোদ্ধা দেশবাসীগণ,
আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মারণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাইনি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন। আমি না থাকলেও আপনারা আমার সন্তান-সন্ততিরা-আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবেন। এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র ও যুবশক্তি, নারী সমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মতো বিশ্বস্ত আর কেউ নয়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই গোলাম আযম ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দায়িত্বভার আমি আপনাদের, বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পণ করলাম। অবশ্যই, জয় আমাদের হবেই। ...জাহানারা ইমাম।
আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিনগুলো ছিল শহীদ জননীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি- যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহকারী সদস্যসচিব ছিলাম আমি। তাকে ডাকতাম ‘মা’। একদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছিলাম, মা আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসে তবে কি ঘাতক দালালদের বিচার করবে? ‘মা হেসেছিলেন। বলেছিলেন- ‘পাগল ছেলে! যতোদিন না এই দেশের মানুষ রুখে দাঁড়ায়, বাধ্য করে- ততোদিন এ বিচার হবে না।’ শহীদ জননী মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৪ সালে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। যে শেখ হাসিনা, শহীদ জননীর পাশে বসে সাহস জুগিয়েছিলেন- তিনি ১৯৯৬-২০০০ সালে ঐ বিচারের কোনো উদ্যোগ নেননি। কিন্তু থেমে থাকেনি শহীদ জননীর স্বপ্ন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হয় ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি। সেই সংগঠনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন বাম-প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী যুক্ত হন। বিশেষ করে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা; জাসদের হাসানুল হক ইনু; কমিউনিস্ট পার্টির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; গণফোরামের সাইফুদ্দিন মানিক; ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী নেতৃবৃন্দ। এঁরা যেহেতু রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব সে কারণে এই সদ্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটিকে রাজনীতির লেজুড়ে পরিণত না করার অভিপ্রায়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয় রাজনীতি-সচেতন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কাঁধে। তিনি আমৃত্যু সে দায়িত্ব দৃঢ়প্রত্যয়, আপোসহীনতা, সাহস আর প্রজ্ঞার সঙ্গে পালন করে গেছেন। সারা বাংলাদেশে তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এক নতুন আঙ্গিকে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশে বিদেশে। শহীদ জননীর ডাকে সেই ঐতিহাসিক গণআদালতে পর্যবেক্ষক হিসেবে যান মার্কিনি আইনজীবী টমাস কিটিং। যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন মাত্রা পায়। পঁচাত্তরের পর সমগ্র জাতি আর কখনোই এমন ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতা, দুঃশাসন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারেনি। তাই শহীদ জননীর নেতৃত্বে নির্মূল কমিটির এই আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। একই সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
আমাদের মনে আছে, সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ পরিবারের সদস্যরা মিলিত হয়ে মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ জারি করেন। এরপর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এরই ধারাবাহিকতায় গঠন করা হয় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশের একশ একজন বরেণ্য নাগরিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক ঘোষণার মাধ্যমে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠন করা হয়। এর এক মাসের কম সময়ে নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ৭২টি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। এ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগেই ২৬ মার্চ গণআদালতে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। নির্মূল কমিটি গঠনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির ও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের পর শহীদ জননী পুরো সময় সমন্বয় কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত করেন।
এর পরের ধারাবাহিকতা অনেকেরই জানা। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়েছে। আমি তখন একজন টগবগে তরুণ। যুক্তরাষ্ট্রে এই কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সদস্যসচিবের দায়িত্ব তখন আমার ওপর ন্যস্ত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে এ কমিটির যুক্তরাষ্ট্র শাখা বেগম জিয়ার সমাবেশের বাইরে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করে। সেই উন্মাতাল দিনগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই শহীদ জননীর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হতো। তিনি আমাকে বলেন, ‘তোমরা বেগম জিয়াকে জিজ্ঞাসা করো, তিনি গোলাম আযমের বিচার করবেন কিনা?’
মনে পড়ছে নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ির বহর আটকে দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিল সেদিন নিউইয়র্কের আকাশ আমার মতো শত শত তরুণ। বেগম জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে প্লাজা হোটেল ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপরে ছিল বেগম জিয়ার প্রেসব্রিফিং। সেখানে একজন সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত থাকার সুযোগ আমার হয়েছিল। আমি বেগম জিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছেন। তিনি ঘাতক-দালাল রাজাকারদের বিচার দাবি করছেন। আপনার সরকার খুনিচক্রের হোতা গোলাম আযমের বিচার করছেন না কেন?’ প্রশ্নটি শোনার পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন খালেদা জিয়া। তিনি বলতে থাকেন, ‘জাহানারা ইমাম কে? গণআন্দোলন করার তিনি কে? তিনি কী করেছেন দেশের জন্য?’ আমি আমার প্রশ্নের উত্তর চাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি তা এড়িয়ে যান। অথচ আমরা জানি এবং চিনি জাহানারা ইমামকে! শহীদ রুমীর আম্মা জাহানারা ইমাম একাত্তরে কী করেছেন, তার সাক্ষী ‘একাত্তরের দিনগুলি’।
আমার খুব মনে পড়ে, শহীদ জননীই সর্বপ্রথম বলেছিলেন তরুণ প্রজন্ম চাইলেই এই বাংলার মাটিতে ঘাতক দালালদের বিচার হবে। হ্যাঁ, এই তরুণ প্রজন্মই তা চেয়েছে এবং সে কারণেই মহাজোট সরকারকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল। মহাজোট সরকার যে কাজটি শুরু করেছিল, যা ছিল একটি জাতির নবযাত্রা। দায় মোচনের কাজটি শুরু হয়েছে। তা অব্যাহত রেখেই এগোচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। আমরা মনে আছে, প্রথম বিচারের রায়ের দিন মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাস ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন, যেদিন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করে প্রথম রায় দেয়া হচ্ছে। নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ফসল এই বাংলাদেশ। ওই নয় মাসে এ দেশে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচার হয়নি, যা এই জাতি ও এ দেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে এক গভীর ক্ষত রেখে গেছে। প্রথম রায়ের ঘোষণায় বলা হয়েছে- আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ছিল, মুক্তিযুদ্ধকালে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আযাদ ও তার সহযোগীরা ফরিদপুর শহরের খাবাসপুরে হবি মাতব্বরের দোকানের কাছ থেকে রণজিৎ নাথ ওরফে বাবু নাথকে ধরে নির্যাতন করে ফরিদপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে যান। সেখানে পাকিস্তানি মেজর আকরাম কোরাইশি ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে আলোচনার পর রণজিৎকে অন্য একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করেন আযাদ। পরে রণজিৎ সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পান। রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, পাকিস্তানি সেনাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আযাদ শুধু রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষীকে (রণজিৎ নাথ) আটকে রেখে নির্যাতন ও অমানবিক যন্ত্রণাদানে উৎসাহিতই করেননি, বরং নিজেও নির্যাতন করেছেন। কেন রণজিৎ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলেন? এর জবাব মেলে সাক্ষীর বর্ণনায়- ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হলে রণজিৎকে দেখে মুজাহিদ (আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি) বলেন, ‘সে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু।’ এরপর রণজিৎকে আযাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ জন্য রণজিৎকে অপহরণ, আটক রাখা ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণের দায় আযাদের ওপর পড়ে।
এভাবেই এদেশে লিখিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস। প্রথম রায়টিতে- শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, গণহত্যা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মানবতাবোধের জন্য এক প্রচণ্ড আঘাত। অপরাধের গভীরতা বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল একমত যে, একমাত্র মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে এই গর্হিত অপরাধের ন্যায়বিচার হবে। তাই তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। প্রথম, পঞ্চম ও অষ্টম অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আযাদ কারাদণ্ড পাওয়ার যোগ্য। এই বিচার আজকের প্রজন্মকে শাণিত করেছে।
এরপর ক্রমশ কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদ, সা কা চৌধুরী, কামারুজ্জামান, এদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
যেসব যুদ্ধাপরাধী এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছে, তাদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার সে দাবি এই প্রজন্ম করেই যাচ্ছে। কারণ জাতি জেনে গিয়েছে, জাতি বুঝে গিয়েছে- কারা এসব যুদ্ধপরাধীদের বিচার করবে। আর কারা এদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। আবারো বলি, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের রেখে যাওয়া পতাকা এই প্রজন্ম বয়ে যাবেই। কারণ তিনি একটি মৌলবাদহীন, জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চেয়েছিলেন।
লেখক : নিউ ইয়র্ক প্রবাসী কলামিস্ট, কবি।
এইচআর/আরআইপি