ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আজ ৬২০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের একটাই দাবি এই নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। কোনো ধরনের শৈথিল্য, দায়িত্বে অবহেলা কিছুতেই কাম্য নয়।   

তৃতীয় ধাপে ১৪টি দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন ৬২০ ইউপিতে, বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন ৫৩৯ ইউপিতে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এসব ইউপি ছাড়া আরো ৫৬ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই। এছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপির মতো বড় দু’দলেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুটি ধাপে ব্যাপক অনিয়ম, সহিংসতা ও ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে  সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। এমনকি সরকারি দলের নেতারাও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখতে চান না। অথচ এটি নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করা উচিত ছিল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল আচরণের কারণে যেখানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোই তটস্থ থাকবে সেখানে উল্টো সরকারি দলকে নির্বাচন কমিশনকেই তাগিদ দিতে হচ্ছে অনিয়ম, কারচুপি বন্ধে। কমিশন মেরুদণ্ডহীন, দলীয়পক্ষপাতদুষ্ট এ রকম অভিযোগ করা হচ্ছিলো আগে থেকেই। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া। কিন্তু কমিশন যেন অনেকটা হাল ছেড়ে দিয়েছে।

আমাদের দেশে রাজনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা। এজন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়াটা নির্বাচন কমিশনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বও। এই দায়িত্বে সামান্যতম কোনো অবহেলা বা বিচ্যুতির সুযোগ নেই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক,ভোটারসহ কারোর দায়িত্ব কম নয়। তবে এক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামকের ভূমিকা পালন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করণীয় আছে কমিশন তার সবকিছু করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন