আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের চিঠির উদ্দেশ্য কী
আমি রাজনীতির মানুষ নই এবং রাজনীতি নিয়ে লেখা আমার বিষয় নয়। কিন্তু আমার একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি, যিনি একাধারে সিনিয়র সাংবাদিক, ছড়াকার এবং ভালো উপস্থাপক, তিনি সম্প্রতি আমাদের দেশের গার্মেন্ট শিল্পের বিষয় নিয়ে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠির একটি কপি আমাকে পাঠিয়েছেন। কারণ আমি সম্প্রতি বাংলাদেশের রপ্তানিমুখি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি এবং আমেরিকার ঘোষিত শ্রমনীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি কলাম লিখেছিলাম। চিঠিটা পড়ে স্পষ্টতই বুঝতে পারলাম যে বিষয়টি যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক। আর একারণেই এসংক্রান্ত কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার চেষ্টা।
বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে আমেরিকার কয়েকজন রাজনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুই হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে আমেরিকার ছয় কংগ্রেসম্যানের লেখা একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তারপর নোবেল বিজয়ীসহ আমেরিকার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির বাংলাদেশের আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা খোলা চিঠি নিয়ে চলে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের লেখা একটি চিঠি আলোচনায় চলে এসেছে।
এবারের চিঠিটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা মূলত আমেরিকার বিষয়। আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন আমেরিকারই একটি বেসরকারি সংস্থা, আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহীর কাছে। ফলে বিষয়টি একান্তই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ এবং এই চিটির পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমেরিকার পোশাক বিক্রেতারা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ লাভক্ষতির ভাগিদার হবে আমেরিকার পোশাক ব্যবসায়ী, রিটেইল স্টোরের মালিক এবং আমেরিকার সাধারণ মানুষ। তাই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার প্রথম সারির মিডিয়ায় বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা। আমেরিকার মূলধারার সংবাদ মাধ্যেম আট কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠি নিয়ে আলোচনা তো দূরের কথা, এ সংক্রান্ত কোনো খবরই খুঁজে পেলাম না। অথচ এই চিঠি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে বাংলাদেশের একশ্রেণির সংবাদ মাধ্যমে, টেলিভিশনের টকশোতে এবং কিছু মানুষের মধ্যে।
কংগ্রেসম্যানদের লেখা চিঠির বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত, আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সংক্রান্ত হলেও, এর পেছনের বিষয়টি একেবারেই যে রাজনৈতিক, তা সেই চিঠিটা পাঠ করলেই বোঝা যায়। আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম সেখানে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে কম্বোডিয়ায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির ব্যাপারে উল্লেখ থাকলেও, এই আট কংগ্রেসম্যানের লেখার চিঠির ব্যাপারে কিছু নেই। যা-হোক কংগ্রেসম্যানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার বা গার্মেন্টস মালিক সমিতির কাছে কোনো চিঠি কখনও লেখা হয়, তখন হয়ত থাকবে।
একটি বিষয় লক্ষ করার মত, তা হচ্ছে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান তাদের চিঠিতে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন, হয়রানি এবং পুলিশ নির্যাতনের বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন ঠিকই, কিন্তু এসব বিষয়ে নেতিবাচক কোনোকিছুই আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে নেই। অথচ কম্বোডিয়ায় টেক্সটাইল বর্জ্য অবৈধভাবে সেখানকার ইট ভাটায় ব্যবহারের বিরুদ্ধে সেখানকার সুশীল সমাজ প্রতিবাদ করায় এবং মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কারণেই আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ল্যামার কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পত্র লিখেছেন।
এ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বের সব স্থানের গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং স্বপ্রণোদিত হয়েই যেকোনো ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি। আমেরিকার কোনো কংগ্রেসম্যানকে কিন্তু কম্বোডিয়ায় টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি লিখতে হয়নি। কয়েক মাসে আগে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন আট হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান, এবং শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগদান করায় পোশাক খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
এসবকিছুই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হওয়ার কারণেই আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার বা গার্মেন্টস মালিক সমিতির কাছে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি লেখেনি, আমরা অন্তত শুনিনি এবং তাদের ওয়েবসাইটেও নেই। এরকম অবস্থায় আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে আমেরিকান অ্যাপারেল এবং ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি লেখার আসল উদ্দেশ্য কী হতে পারে।
আট কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠি পড়ার পর আমার কাছে কয়েকটি প্রশ্ন জেগেছে। প্রথমত, আমেরিকার কংগ্রেসম্যান এখানকার কোনো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীদের সংগঠনকে এভাবে সরাসরি চিঠি লেখে না। কেননা এই ধরনের চিঠি এখানকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে লিখলে তা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয় এবং এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়ে থাকে। তবে তাঁরা কংগ্রেসে আলোচনা করেন, প্রয়োজনীয় আইন পাশ করেন এবং আমেরিকার ব্যবসায়ীরা সেই আইন মেনেই তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোনো অনিয়মের অভিযোগ থাকলে কংগেসনাল কমিটি শুনানির আয়োজন করতে পারে। যেমন ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় কংগ্রেসনাল কমিটি ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গের শুনানি করেছিল। আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের এরকম শুনানি খুবই নিয়মিত ঘটনা। দ্বিতীয়ত, আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান তাঁদের চিঠিতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকের অসন্তোষের যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো পুরনো ঘটনা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধিসহ শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়গুলোর সমাধান হওয়ায় সব শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন এবং সব কারখানা পুরোদমে চলছে। অথচ আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান এসব পুরনো এবং মীমাংসিত বিষয় উল্লেখ করে কেন চিঠি লিখলেন এতদিন পরে এসে? আমার ভাবতে অবাক লাগে যে আমেরিকার মতো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশের আইন প্রণেতারা এরকম পুরনো এবং সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয় নিয়েও চিঠি লিখে থাকেন?
যে শ্রমিকদের জন্য মায়াকান্না করে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখলেন, সেই শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কেননা কংগ্রসম্যানদের এই চিঠির কারণে আমেরিকার কিছু পোশাক ব্যবসায়ী যদি বাংলাদেশের বিকল্প বাজার বেছে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এবং তেমনটা ঘটলে সেসব কারখানার শ্রমিকরা একেবারে পথে বসবে।
আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয় যে যারা এই চিঠি লেখার নেপথ্যের নায়ক, তারা দুই মাস আগের ঘটনা উল্লেখ করে চিঠি লিখে তাতে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য কংগ্রেসম্যানদের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে এত দেরি করে ফেলেছেন। আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের লেখা সেই চিঠির এক স্থানে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২০৮ ডলারের সমপরিমাণ নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়টিও আমার কাছে অস্বাভাবিক এবং অবাস্তব মনে হয়েছে। কেননা পশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে আমেরিকার নীতিনির্ধারক বা কংগ্রেসম্যান কখনই অন্য কোনো দেশের শ্রমিকের মজুরি বা অন্য কোনো বিষয় সংখ্যা উল্লেখ করে নির্ধারণ করার জন্য সুপারিশ করেন না। আর করলেও, এরকম খণ্ডিত সংখ্যা ২০৮ ডলার হওয়ার কথা নয়। সেটি হয়ত সাধারণ সংখ্যা ২০০, ২৫০ বা ৩০০ ডলার হতে পারে। একেবারে ২৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২০৮ ডলার উল্লেখ করার কারণেই আর বুঝতে বাকি থাকে না যে স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের অবাস্তব দাবি তুলে গার্মেন্টস শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়েছিল তারাই এই চিঠির বক্তব্য লিখেছেন।
আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না যে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের এই চিঠির দ্বারা কাদের স্বার্থ রক্ষা হবে। প্রথমত, আমেরিকার জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা তাদের এই চিঠির কারণে যদি শ্রমিকের বেতন ২০৮ ডলারের সমপরিমাণ করা হয় বা বাংলাদেশের বিকল্প বাজার খোঁজা হয়, তাহলে উচ্চ দ্রব্যমূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা আমেরিকানদের আরো অধিক মূল্যে কাপড়চোপড় কিনতে হবে। ফলে আমেরিকার জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্বিতীয়ত, আমেরিকার ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপেক্ষাকৃত বেশি দামে তৈরি পোশাক আমদানি করার কারণে তাদের মুনাফা হ্রাস পাবে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমেরিকার পোশাক ব্যবসায়ীদের ওপর।
তৃতীয়ত, যে শ্রমিকদের জন্য মায়াকান্না করে আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখলেন, সেই শ্রমিকরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কেননা কংগ্রসম্যানদের এই চিঠির কারণে আমেরিকার কিছু পোশাক ব্যবসায়ী যদি বাংলাদেশের বিকল্প বাজার বেছে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এবং তেমনটা ঘটলে সেসব কারখানার শ্রমিকরা একেবারে পথে বসবে। তারা এখন যে উপার্জন করেছে সেটাও তো তখন বন্ধ হয়ে যাবে। আমি জানি না যে এই আট কংগ্রেসম্যান এতসব ভেবে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, নাকি কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাদের পিছনে ঘুরে ঘুরে যেভাবে বুঝিয়েছেন সেভাবেই স্বাক্ষর করে দিয়েছেন।
অনেকেই ভাবতে পারেন যে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের এত বোকা ভাবার কারণ নেই। অবশ্যই নেই। কিন্ত এখানকার নীতিনির্ধারক এবং কংগ্রেসম্যান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধান্দাবাজি এবং সুবিধাবাদীর বিষয়টি বিবেচনায় নেন না, বরং তারা সরলভাবে আমাদের বিশ্বাস করে থাকেন এবং আমরা অনেকেই যে তাদের সেই সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে থাকি তা তো অতীতে অনেকভাবেই প্রমাণিত হয়েছে।
আমেরিকার আট কংগ্রেসম্যানের এরকম চিঠির উপযুক্ত জবাব দিতে পারে একমাত্র আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, যারা আমেরিকার নাগরিক। কেননা আমেরিকার কংগ্রেসম্যান ভোটার হিসেবে তাঁদের কাছেই দায়বদ্ধ এবং আমেরিকার নাগরিকের ট্যাক্সের টাকায় কংগ্রেসম্যানদের বেতন-ভাতা হয়। তাই ভোটার তথা আমেরিকার নাগরিকদের স্বার্থের ক্ষতি হয় এমন পদক্ষেপ তাঁরা কখনই নিতে পারেন না। যা-হোক এরকম চিঠি, হুমকি ধমকি এবং উদ্বেগের ব্যাপারগুলো চলতেই থাকবে।
কেননা এর পিছনে আমেরিকার কংগ্রেসম্যান বা নীতিনির্ধারকদের চেয়ে এক শ্রেণির বাংলাদেশবিরোধী মহল বেশি তৎপর। বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত থাকবেই। আর এসব ষড়যন্ত্র এবং অপচেষ্টা এড়িয়ে আমেরিকায় তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখা এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার জন্য গার্মেন্টস মালিক সমিতিকে কিছু সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
লেখক: সার্টিফায়েড অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং স্পেশালিষ্ট ও ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা।
[email protected]
এইচআর/জিকেএস