নির্বাচন কি প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে?
সব নাটকীয়তা শেষ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে নেই। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ৩০০ আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ জন। জোট শরিক ও জাতীয় পার্টি ছাড় দিয়ে এবার ২৬৩ আসনে লড়বে আওয়ামী লীগ। ২৮৩ আসনে নির্বাচন করছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম নির্বাচনে থাকলেও প্রার্থী সংখ্যা কম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩১টি আসনে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই। এরমধ্যে জোটমিত্র জাতীয় পার্টি ২৬টিতে তাদের প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করবে। আর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রতিপক্ষের আপিলে ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে সবকিছু অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন করার জন্য সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
ইতোমধ্যে ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ হবে প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রে। আসনভিত্তিক ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত করেছে ইসি। তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ৩২ আসনে তাদের প্রার্থী থাকছে না। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১৪ দলের শরিকরা নৌকা মার্কায় ভোটে অংশ নেবেন। আর জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
জোট শরিক ও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোর প্রার্থীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ এ রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ এ হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, সিলেট-৩ আসনে মো. আতিকুর রহমান, বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে হোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আগে থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না।
১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জাসদ তিনটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসন পেয়েছে। তাদের জন্য বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোট ১৬টি আসনে জোটের মনোনয়ন পেয়েছিল ১৪ দল। এবার সংখ্যাটা একই রকম না থাকায় মনঃক্ষুণ্ন শরিকরা। কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত দলগুলোকে এক আসনও ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। তারা পেয়েছে শুধু আশ্বাস।
এদিকে সব আসনেই একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করছেন। দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারো বিএনপি ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগ নতুন কৌশল নিয়েছে। ২০১৪ সালের মতো অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া এড়াতে এবার মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দলের পক্ষ থেকেই উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ফলে নৌকা কিংবা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের জিততে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করে। এর মধ্যে ১১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্রের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করেন প্রার্থীরা। দলীয় সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন কেউ কেউ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে জাকের পার্টি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে ‘দলীয় প্রধানের হুকুম’র কথা উল্লেখ করেন তারা।
৭ জানুয়ারি স্পষ্ট হবে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। তবে যে নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত সেই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কম থাকাটাই স্বাভাবিক।
ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ প্রার্থিতা ফেরত পেতে হাইকোর্টে রিট করেছেন। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বরিশাল-৫-এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহও। দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে এই তিন হেভিওয়েটের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন সমঝোতার বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। নানা ঘটনা ও নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে থাকার বিষয়টি পরিষ্কার করেছে সংসদের বিরোধীদল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর ২৬ আসনে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জাপা। গত রোববার বিকালে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ সময় ২৮৩ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও নির্দিষ্ট কিছু আসনে কৌশলের কথা জানান তিনি। তবে কী কৌশল নেওয়া হবে, সে বিষয়ে খোলাসা করেননি।
গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে অনেকটা গোপনে দেনদরবার চলছিল জাপা নেতাদের। এর মধ্যে পার্টির নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। শনিবার বিকাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জাপার শীর্ষ নেতারা। ৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার প্রথম বৈঠকে ৫০ জনের একটি তালিকা দেয় দলটি। কিন্তু শনিবার ২৬টির বেশি আসন দেওয়া হবে না বলে জাপাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এতেই ফুঁসে ওঠেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের গুলশানের বাসায় চলে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। রাত ৯টার দিকে জাপা মহাসচিব আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতাকে সম্মানজনক আসন না পেলে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানান। রাতের মধ্যেই সরকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে কোনো জবাব না পাওয়ায় নির্বাচন বর্জনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন দলটির শীর্ষ নেতারা। রোববার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বনানীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এর মধ্যে গুঞ্জন ছড়ায় জাপা নির্বাচন বর্জন করছে। রোববার দুপুরে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনে ঘি ঢালেন দলের মহাসচিব। এদিন দুপুর ১টার দিকেও অনেকটা সন্দেহ রেখেই নির্বাচনের অংশ নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। নির্বাচনে থাকা না থাকা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয় নয়; দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
মূলত ২৬টি আসনের বাইরে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার নাম টিক মার্কের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বারবার আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে জাপা চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের মনোনয়ন চূড়ান্তের বিষয়টি ছিল। শেরীফা কাদের ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী। এছাড়া পটুয়াখালী-১, ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৬ আসন নিয়েও চলছিল দেনদরবার। ঢাকার দুই আসনে জাপার প্রার্থী ছিলেন আবু হোসেন বাবলা ও কাজী ফিরোজ রশীদ। পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন দলের সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
শেষ পর্যন্ত শেরীফা কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারের আসনের নিশ্চয়তা পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় দলটি। যদিও তালিকায় প্রথম থেকে নাম থাকলেও শেষের দিকে এসে ছিটকে পড়েন কাজী ফিরোজ রশীদ ও আবু হোসেন বাবলা। আগের তালিকায় রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য নাসরীন জাহান রত্নাকে বরিশাল-৬ আসনে রাখা হয়েছিল। তবে নাটকের শেষ অঙ্কে তাকে বাদ দিয়ে স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদারকে পটুয়াখালী-১ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ আরও একজন প্রার্থী বাদ পড়েন। তিনি যমুনা গ্রুপের কর্ণধার, দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক ও জাপার কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। দলটির নেতারা জানান, জাতীয় পার্টির কয়টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রত্যাহার করেছে- সেটি বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে, আসন সমঝোতা নিয়ে যাদের নামই ছিল না, তাদের আসনে কোন অলৌকিক ক্ষমতা বলে নৌকা প্রত্যাহার হলো। এদিকে আসন সমঝোতার পর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে কয়েক সিনিয়র নেতা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও রয়ে গেছেন আবু হোসেন বাবলা। তিনি ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জাপা মহাসচিব বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের আশ্বাসে মোটামুটিভাবে আমাদের একটা আস্থা এসেছে- তারা নির্বাচনটা ভালোভাবে করতে চান। সরকার ইসিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা সহযোগিতা করবে।
সে কারণে আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকছি। সাধারণ মানুষ ভোটে অংশ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। এই নির্বাচনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। সব বাধা অতিক্রম করে আমরা নির্বাচন করছি। এটাই বড় কথা। কোনো চাপ নয়, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটে এসেছি।
৭ জানুয়ারি স্পষ্ট হবে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। তবে যে নির্বাচনের ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত সেই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কম থাকাটাই স্বাভাবিক।
লেখক: রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।
এইচআর/ফারুক/জেআইএম