ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা হোক

প্রকাশিত: ০৩:৪০ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৬

আজ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে বসছে বসছে  ১২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। দেশের দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে আজ সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হবে এই পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ১ লাখ ২ হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন ছাত্রী।

গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন।  এটা অবশ্যই আশার দিক। যেখানে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। এসএসসির মতো এইচএসসিতেও এবার থেকে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। দুই পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট বিরতি রাখা হয়েছে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যাদের অসুবিধা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এসব পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। আর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক পরীক্ষার্থীদের প্রতি একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।  

বলতে গেলে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই পরীক্ষার্থীরাই আগামীতে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করবে।   শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি একটি মহাসমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এবার যেন কোনো অবস্থাতেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদেরও কোনো গুজবে কান না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। আর পরীক্ষাকে নকলমুক্ত রাখতেও সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। সকল পরীক্ষার্থীর জন্য রইলো আমাদের শুভ কামনা।

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন