ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

উদ্বেগজনক ও বিপদজনক

প্রকাশিত: ০৫:২২ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৬

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামবাসীর সঙ্গে হিজবুত তৌহিদের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ফলে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একই সঙ্গে বিপদজনকও। এটি নিছক আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা নয়। এ ধরনের ঘটনা যে আরও ঘটবেনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ঘটনার কারণ যাই হোক স্থানীয় প্রশাসন এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। অবিলম্বে তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা ওই সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। হিজবুত তৌহিদের কর্মীরা এলাকায় ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ আছে। দুই বছর আগে তারা স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে এলাকা ছাড়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চাষিরহাটে সমাবেশ করে তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এতে লোকজন আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সে থেকে গত কয়েক দিন পর্যন্ত সংগঠনের বহিরাগতদের এলাকায় আনাগোনা বেড়ে যায়।

এ নিয়ে সোমবার স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আসার সময় চাষির হাটে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। দুপুরে উত্তেজিত জনতা সংগঠনের এক সমর্থকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। গত কয়েক বছর থেকে পোরকরা গ্রামে হুমায়ুন খান পন্নীর অনুসারী হিজবুত তৌহিদের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় মুসল্লিদের নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে হিজবুত তৌহিদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য জামায়াত শিবির ও জঙ্গিবাদী সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে।

এ থেকে বোঝা যাচ্ছে সমস্যা অনেক গভীরে। হিজবুত তৌহিদের কার্যক্রম যদি এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে তাহলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়য়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও যদি তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে তো ঘটনা এতোদূর গড়াতো না। তৃতীয় পক্ষও ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করেছে কিনা সেটিও দেখার বিষয়।  এই ঘটনার দায় নিতে হবে প্রশাসনকেও। পাশাপাশি জড়িতদেরও খুঁজে বের করে কঠোর সাজার আওতায় আনতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিপদজনক প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন